ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

টুং টাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফটিকছড়ির কামার শিল্পীরা

টুং টাং শব্দে ব্যস্ত সময় পার করছেন ফটিকছড়ির কামার শিল্পীরা

আগামী ৭ জুন দেশে পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। কোরবানির এই ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কামারশিল্পীরা। সকাল-সন্ধ্যা দম ফেলার ফুরসত নেই কারও। টুং টাং লোহার শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন কামারশালাগুলো।

উপজেলার বিবিরহাট, নাজিরহাট, নানুপুর, আজাদী, কাজীরহাট, শান্তিরহাট, বাগানবাজার, হেয়াঁকা বাজারসহ অন্তত ৪৯টি হাটবাজারে কামাররা দা, বঁটি, চাকু, চাপাতি তৈরি ও ধার দেওয়ার কাজে দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। কোরবানির পশু জবাই ও মাংস প্রস্তুতের জন্য এসব সরঞ্জামের চাহিদা এখন তুঙ্গে।

কামাররা জানান, স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেও পাইকাররা এসে এসব সরঞ্জাম সংগ্রহ করছেন। তবে লোহা ও কয়লার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচও বেড়ে গেছে।

নাজিরহাট বাজারের কামারশিল্পী শিবু দাশ বলেন, "এক সময় কামারদের অনেক কদর ছিল। এখন আধুনিক যন্ত্রপাতির কারণে আমাদের তৈরি জিনিসের প্রতি মানুষের আগ্রহ কমেছে। তবে কোরবানির ঈদের সময়টায় একটু আশার আলো দেখি।"

১২ বছর বয়স থেকেই এ পেশায় যুক্ত সুজিত কর্মকার (৫২) বলেন, "সারা বছর কাজ কম থাকলেও ঈদ এলে কাজের চাপ বাড়ে। তবু এই শিল্প টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করতে হচ্ছে।"

বিবিরহাট বাজারের মায়ের আঁচাল নামের দোকানের মালিক প্রিয়তোষ দাশ বলেন, ১৩ বছর যাবৎ আমার দোকান। লোহা ও কয়লার দাম বেড়ে গেছে। তারপরও কম দামে ধার করতে টাকা নিতে হচ্ছে দা -৬০ থেকে ৮০ ছুরি-৩০ থেকে ৫০, বটি পানি - ৭০থেকে ১০০, লামদা কিরিচ -৩০০ টাকা।

দা, বঁটি ধার করাতে আসা স্থানীয় গ্রাহক আনোয়ার মোস্তফা বলেন, "প্রতি বছর ঈদের আগে কামারদের কাছ থেকে দা-বঁটি ধার করাই। এবারও এসেছি, তবে আগের তুলনায় দাম একটু বেশি।"

ফটিকছড়ি,কামার,শিল্পী,ব্যস্ত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত