ঢাকা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভোলার অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস শ্রমিকদের ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ভোলার অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস শ্রমিকদের ধর্মঘট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ভোলায় বাস ও সিএনজি শ্রমিকের মধ্যে মারামারিকে কেন্দ্র করে জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। সোমবার সকাল থেকে জেলার ৫টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বাস শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে জেলার ৫ রুটের হাজার হাজার যাত্রীরা। ছোট যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছাতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। পাশাপাশি গুণতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। দ্রুত এই সমস্যা সমাধানের দাবি যাত্রীদের।

জানা গেছে, সোমবার ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাসস্ট্যান্ড চলছে বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট। এতে বন্ধ রয়েছে ভোলা-চরফ্যাশন, ভোলা-তজুমদ্দিন, ভোলা-দৌলতখান, ভোলা-ইলিশা ও ভোলা-ভেদুরিয়া রুটসহ ৫ রুটের বাস চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ৫ রুটের কয়েক হাজার যাত্রী। ধর্মঘটের সুযোগে ছোট যানবাহনগুলো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে বলেও অভিযোগ যাত্রীদের।

যাত্রী সফিক জানান, বাস বন্ধ থাকায় যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত বোরাকে গাদাগাদি করে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে গন্তব্য যেতে হচ্ছে। যাত্রীদের সিট ৫ থেকে ৬ জনের হলেও এখন চালকরা ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী নিচ্ছে। তাও আবার ভাড়া নিচ্ছে বাসের চেয়ে ১০০ টাকা বেশি।

যাত্রী লোকমান, আকবর জানান, তারা বরিশাল থেকে ভোলার বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল বাস স্ট্যান্ডে এসেছেন। লালমোহন যাবেন, কিন্তু বাস বন্ধ। এখন বিকল্প যানবাহন হিসেবে মাইক্রোবাসে করে যাবেন। তবে বাসের চেয়ে ভাড়া দ্বিগুণ গুনতে হচ্ছে। তারপরও যেতে হবে কিছু করার নাই। ভোলা জেলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান বলেন, সিএনজি শ্রমিকরা বেপরোয়া হয়ে গেছে। তারা কারণে অকারণে আমাদের বাস শ্রমিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বাস শ্রমিকদের ওপর হামলার কঠোর বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস বন্ধ থাকবে। আমাদের কোনো শ্রমিক বাস চালাবে না।

ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু সাহাদাত হাসনাইন পারভেজ বলেন, সমস্যা সমাধানের জন্য বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের সঙ্গে রাত থেকেই আলোচনা চলছে। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সমাধান হবে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত রোববার বিকেলে ভোলা- চরফ্যাশন সড়কের বাংলাবাজার সংলগ্ন এলাকায় রাস্তায় সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে মারামারি হয়। এ ঘটনায় ভেদুরিয়া, কুঞ্জেরহাট ও লালমোহনে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বাস ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে। উভয় পক্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়। এরপর একদিন সন্ধ্যায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘটের ডাক দেয় ভোলা বাস ও মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়ন।

ধর্মঘট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত