ঢাকা সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এখন ‘গলার কাটা’

১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এখন ‘গলার কাটা’

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের হংশরাজ কলমদার নদীর উপর নির্মিত একটি বাঁশের সাঁকো এখন অন্তত ১০ গ্রামের মানুষের একমাত্র চলাচলের ভরসা। প্রতিদিন এই সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। যার মধ্যে রয়েছে শত শত শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও সাধারণ পথচারী।

স্থানীয়দের ভাষায়, সাঁকোটি যেন ‘গলার কাঁটা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার সময় সাঁকোটি ভেঙে নদীতে ভেসে যায়, তখন কলার ভেলা বা সাঁতার কেটে নদী পার হতে হয়। এতে বই-খাতা ভিজে শিক্ষার্থীরা পাঠদান থেকে বঞ্চিত হয়। কোনো ভারী যানবাহন তো দূরের কথা, ভ্যান বা রিকশাও চলাচল করতে পারে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ী প্রদীপ শর্মা জানান, সাঁকোর পশ্চিমদিকে রয়েছে ডুগডুগি, বড়গাছা, চওড়া, বসুনিয়া ও তরনীবাড়ী গ্রামের বাসিন্দারা এবং পূর্বদিকে রয়েছে ধরনীগঞ্জ বাজার, ইউপি ভবন, কালিতলা, বাবুর হাট ও আঠিয়াবাড়ীসহ আরও অনেক গ্রাম ও শহরের সংযোগ। এ সাঁকো ব্যবহার না করে বিকল্প পথে যেতে হলে প্রায় ৩ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হয়। “ব্রিজের জন্য বহুবার স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারকে বলেছি, কিন্তু শুধু আশ্বাসই পেয়েছি,” বলেন তিনি।

স্থানীয় বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, “এই সাঁকোর স্থানে ব্রিজ হলে এলাকার চিত্র পাল্টে যাবে। অর্থনীতি, শিক্ষা, চিকিৎসা সবকিছুই সহজ হবে।”

সাঁকোটির দুই পারে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, হাট-বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ জনবসতি থাকায় একটি ব্রিজ এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে। অনেকেই এ পর্যন্ত দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়েছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ বলেন, “নদীর ওপর বাঁশের সাঁকোটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এখানে একটি ব্রিজ অত্যন্ত জরুরি।”

অন্যদিকে, উপজেলা প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে আমি বিস্তারিত জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”

ভরসা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত