শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ওবায়দুর রহমান বলেছেন, দেশে বর্তমানে পর্যাপ্ত লবণের মজুদ রয়েছে এবং সরকার দেশে লবণ আমদানির অনুমতি দেয়নি। দেশের চাষিদের ক্ষতিগ্রস্ত করে সরকার এ বছর লবণ আমদানি করবে না। তিনি জানান, আগামী কোরবানির ঈদে চামড়া শিল্পের জন্য লবণের সংকট হবে না।
রোববার (১১ মে) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজারের লবণ উৎপাদন পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, সরকার লবণ চাষীদের কল্যাণে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছে। লবণ চাষিদের আধুনিক লবণ চাষের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক প্রণোদনা প্রদান, চাষিদের হেলথ কার্ড প্রদান, লবণ চাষিদের ডেটাবেইজ তৈরি করবে। দেশের লবণ শিল্পের স্বার্থে একটি লবণ নীতিমালা তৈরি করবে।
শিল্প সচিব বলেন, 'সরকার যেকোনো শিল্পের উন্নয়ন চায়। তাই লবণ শিল্পের উন্নয়নেও সরকার আন্তরিক। প্রকৃত লবণ চাষিদের ডাটাবেজ করে নীতিমালা করা হবে। যাতে দালাল ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য কমে যায়। নীতিমালায় লবণের জমির দাম নির্ধারণ, চাষিদের প্রণোদনা, স্বাস্থ্য সেবা ও চাষিদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদানসহ নানা সুযোগ সুবিধা থাকবে।'
তিনি বলেন, আগামী উৎপাদন মৌসুমে সরকার সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে লবণ ক্রয় করার পরিকল্পনা নিয়েছে। এ জন্য লবণ উৎপাদন এলাকায় বাফার স্টক করার জন্য এক লাখ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গুদাম নির্মাণ করবে।
ব্রিফিংয়ে তিনি উল্লেখ করেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে মিল মালিকেরা ১১ লাখ মেট্রিক টন লবণ আমদানি করেছিল।
বৈঠকে বিসিকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিসিকের লবণ সেলের প্রধান সরওয়ার হোসেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইমরান হোসেন সজিব, সাবেক সংসদ সদস্য এটিএম নুরুল বশর কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।