মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ডালিম দেওয়ান হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের পরিবার।
মঙ্গলবার দুপুর ২টায় মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের শফিউদ্দিন মিলনায়তনে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী আমিনুল এহসান দেওয়ান অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল পরিকল্পনাকারীরা এখনও ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
তিনি জানান, মামলার আসামি সোহাগ ও শামিম ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তারা জানায়, কামাল ও হোসেনসহ আরও দুইজন মুখোশ পরা ব্যক্তি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়। কিন্তু অভিযুক্ত কামাল, হোসেন ও আরও দুইজনকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
বাদী আমিনুল বলেন, “সোহাগ ও শামিম স্পষ্টভাবে বলেছে, কামালের নেতৃত্ব ও নির্দেশেই ডালিমকে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ মেঘনার শাখা নদীতে ফেলে দেয় ঘাতকরা। পরে লাশ ভেসে উঠলে পুলিশ উদ্ধার করে। কিন্তু এখনো তদন্তে গতি নেই, আর মূল হোতারা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “নৌ পুলিশ তদন্তের দায়িত্বে থাকলেও তারা কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তাই মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের দাবি করছি।”
এর আগে, ২০২৪ সালের ৬ মার্চ রাত থেকে নিখোঁজ হন গজারিয়া উপজেলার পোড়াচক বাউশিয়া গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেন দেওয়ানের ছেলে ডালিম দেওয়ান (৩৫)। ৮ মার্চ নয়াকান্দি গ্রামসংলগ্ন মেঘনার শাখা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর ৯ মার্চ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে গজারিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বড় ভাই আমিনুল এহসান দেওয়ান। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ প্রথমে শামিম, পরে মাহমুদুল হাসান রাব্বি এবং তাদের দেওয়া তথ্যে সোহাগকে গ্রেপ্তার করে।
তবে, রাব্বি এখনও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়নি এবং বর্তমানে গ্রেপ্তার তিনজনই জামিনে রয়েছেন।