ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২১ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

লালমনিরহাটে তেজপাতার বাণিজ্যিক চাষ

লালমনিরহাটে তেজপাতার বাণিজ্যিক চাষ

মশলা জাতীয় ফসল তেজপাতা রান্নাঘরের অপরিহার্য উপাদান। শুধু রান্নায় নয়, মিষ্টান্ন তৈরিতেও ব্যবহৃত হয় তেজপাতা। ঔষধি গুণে ভরপুর এই ফসল সাধারণত বাড়ির আঙিনা বা সীমিত আকারে চাষ হলেও লালমনিরহাটে তা এখন বাণিজ্যিকভাবে আবাদ হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জেলার সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা ও পাটগ্রাম উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন এবং লালমনিরহাট ও পাটগ্রাম পৌরসভাসহ প্রায় প্রতিটি এলাকায় তেজপাতা চাষের বিস্তার ঘটেছে। একটি গাছ থেকে বছরে দুইবার পাতা সংগ্রহ করা যায়।

চাষপদ্ধতি সম্পর্কে জানা গেছে, প্রথমে জমি প্রস্তুত করে তেজপাতার চারা রোপণ করতে হয়। বছরে দুইবার সার ও প্রয়োজন অনুযায়ী সেচ দিলেই ফলন ভালো হয়। তুলনামূলকভাবে খরচ কম এবং রোগবালাইও তেমন নেই।

ফুলগাছ গ্রামের চাষি নুর আমীন বলেন, "তেজপাতা চাষে তেমন খরচ হয় না। শুধু চারা রোপণ আর সামান্য পরিচর্যায় ভালো ফলন হয়। বসন্তকালে কিছু পোকা লাগে, তখন একবার স্প্রে করলেই হয়।"

কোদালখাতা গ্রামের আরেক চাষি আফসার আলী বলেন, "তেজপাতা সাথী ফসল হিসেবে চাষ করা যায়। এতে একই জমিতে দুই ধরনের ফসল পাওয়া যায়।"

লালমনিরহাটের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, "আমরা কৃষকদের তেজপাতা চাষে উৎসাহ দিচ্ছি। কৃষকরা এখন আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। এ প্রযুক্তি ছড়িয়ে দিতে পারলে আরও অনেকেই উপকৃত হবেন এবং লাভবান হবেন।"

তেজপাতা,বাণিজ্যিক,চাষ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত