জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের রংপুরের বাড়ি ‘স্কাই ভিউ’তে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার পর রংপুরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী।
রোববার (১ জুন) রাত সাড়ে ১২টার দিকে নগরীর পায়রা চত্বরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহমেদ ইমতি ও জেলা আহ্বায়ক ইমরান আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সেনাবাহিনীর একটি দল।
জিজ্ঞাসাবাদের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম এবং ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম। এসময় বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও স্থিরচিত্র দেখিয়ে অভিযুক্তদের পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।
ঘটনার পরপরই মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, সদস্য সচিব মাহফুজ উন নবী ডন ও জেলা সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুকে ডেকে তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয় হামলায় বিএনপি বা অন্য কোনো দলের কর্মীরা জড়িত কি না।
রাতে সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) রংপুরের সংগঠক আলমগীর রহমান নয়ন কোতোয়ালি থানায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, রংপুরের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ দলটির ১৮ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন।
এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, "এই ঘটনায় শুধু এনসিপি নয়, বিএনপি, জামায়াত—সবার জিজ্ঞাসাবাদ হতে পারে। তবে তা দিনের আলোতে হোক। আওয়ামী লীগের দোসর জাতীয় পার্টির বাংলাদেশে কোনো জায়গা হবে না।"
সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ুন কাইয়ুম বলেন, “সাবেক সেনাপ্রধান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আমরা তথ্য জানতে চেয়েছি। রংপুরে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। অরাজকতা কোনভাবেই সহ্য করা হবে না।”