ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৯ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

মেয়াদোত্তীর্ণ তিস্তা রেলসেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন

মেয়াদোত্তীর্ণ তিস্তা রেলসেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে ট্রেন

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও ঐতিহ্যবাহী তিস্তা রেলসেতু অল্প কিছু মেরামত ও জোড়াতালিতে টিকে রয়েছে। অনেক স্থানে কাঠের স্লিপার পচে নষ্ট হয়ে গেছে, নেই অনেক লোহার ক্লিপ ও প্লেটও।

জানা যায়, ১৮৯৯-১৯০০ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক ২ হাজার ১১০ ফুট লম্বা এই লোহার সেতুটি লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামকে রংপুরের সাথে যুক্ত করে। নির্ধারিত মেয়াদ ছিল ১০০ বছর। কিন্তু মেয়াদ পেরিয়ে গেছে আরও ২৫ বছর আগে। তারপরও ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ এই ব্রিজ দিয়ে প্রতিদিন ৩টি আন্তনগর ও মোট ১৬টি ট্রেন চলাচল করে যাচ্ছে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ব্রিজটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে অপর একটি ব্রিজের স্প্যান ও গার্ডার নিয়ে ১৯৭২ সালে এটি আবার মেরামত ও চালু করা হয়। ১৯৭৭ সালে লোহার ও কাঠের পাটাতন স্থাপন করে এর উপযুক্ততা আরও বাড়ানো হয়। ১৯৭৮ সালের ৪ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে এই ব্রিজটি আবারও পরিবহন ও মালামাল চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

২০০১ সালে এই রেলসেতুর পাশে নতুন করে তিস্তা মহাসড়ক সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর মহাসড়কটি উদ্বোধন করার পর সেখানে সমস্ত যান চলাচল শুরু হলেও রেল চলাচল অপরিবর্তিত থাকে।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল মালেক বলেন, “প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকিতে এই ব্রিজ দিয়ে মানুষ ও মাল পরিবহন হচ্ছে। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” তাই অল্পতেই দুর্ঘটনা এড়াতে তিনি সরকারের কাছে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান।

কাউনিয়া রেলস্টেশন মাস্টার হোসনে মোবারক বলেন, “ব্রিজটি অল্প অল্প করে মেরামত হচ্ছে। উচ্চ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি।”

লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. ইশবাল হোসেন বলেন, “মাঝেমধ্যে ব্রিজটি মেরামত করা হয়। এর সমীক্ষার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সামনে নতুন প্রকল্পের আওতায় এখানে ডাবল ব্রডগেজ ব্রিজ নির্মিত হলে এই ব্রিজটি ব্যবহারের বাইরে চলে যাবে।”

তিস্তা রেলসেতু,ট্রেন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত