পবিত্র ঈদুল আযহার ১০ দিনের ছুটিতে বিনামূল্যে প্রায় ১০০টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন করেছে রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার ৪০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।
গত ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত এই কার্যক্রম চলেছে বলে জানিয়েছেন আরডিআরএস বাংলাদেশের জননী প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ ফরাজদুক ভূঞা। তিনি আরও বলেন, ঈদের দিনেও ৩টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন করেছে বদরগঞ্জের গোপীনাথপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।
জানা যায়, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও কোরিয়া সরকারের অর্থায়নে এবং সেইভ দ্যা চিলড্রেনের কারিগরিতে সহায়তায় ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। জননী প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে আরডিআরএস বাংলাদেশ, যা রংপুর ও লালমনিরহাট জেলায় মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা জোরদার করাই এর মূল লক্ষ্য।
প্রকল্পটি স্বাস্থ্যকর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোর সংস্কার ও আধুনিকায়ন এবং ২৪ ঘন্টা ও সপ্তাহের ৭ দিন বিনামূল্যে নরমাল ডেলিভারি ও ওষুধ সরবরাহসহ কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
রংপুর পরিবারের পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঈদুল আজহার ১০ দিনের ছুটিতে শুধুই রংপুর জেলাতেই ৫৮টি নরমাল ডেলিভারি সম্পন্ন হয়েছে। মা ও শিশু কেন্দ্রসহ সকল স্বাস্থ্য কেন্দ্র সপ্তাহে ৭ দিন ও ২৪ ঘন্টাই খোলা রয়েছে।
রংপুরের বদরগঞ্জের গোপীনাথপুর ইউনিয়নের নরমাল ডেলিভারি হওয়া মা মিনি আক্তার বলেন, “আমি ও আমার সন্তান সুস্থ আছি। বিনা পয়সায় ভালো চিকিৎসা ও ওষুধ পেয়েছি।”
জননী প্রকল্পের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ ফরাজদুক ভূঞা জানান, “কোরিয়া ও সেইভ দ্যা চিলড্রেনের কারিগরি ও অর্থায়ন এবং সরকারের পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্থানীয় সরকারের সহযোগিতায় এই প্রকল্পটি এগিয়ে যাচ্ছে।”
জননী প্রকল্পের সিনিয়র কর্মকর্তা ফুয়াদ খান বলেন, “রংপুরের ২৩টি ও লালমনিরহাটের ১৭টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকারের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও কল্যাণ কেন্দ্রগুলোকে আরও কার্যকর ও সক্ষম করাই এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যে।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি দেশের সকল ইউনিয়ন এই ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু অনেক কমে যাবে।