রংপুরের জিআই পণ্যখ্যাত ‘হাঁড়িভাঙা’ আম ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ নিয়ে রংপুরের মিঠাপুকুরে হাড়িভাঙ্গা আম চাষী ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেছেন রংপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) সকালে মিঠাপুকুর উপজেলা প্রশাসন ও মিঠাপুকুর কৃষি অফিসের আয়োজনে পদাগন্জ স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন সহকারী কমিশনার ভূমি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) মুলতামিস বিল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, রংপুরের হাড়ি ভাঙ্গা আম আমাদের রংপুরের গর্ব। জিআই পণ্য হিসেবে হাড়ি ভাঙ্গা আম সরকারীভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে । এ অঞ্চলের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, হাড়ি ভাঙ্গা আম নিয়ে গবেষণা চলছে। নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বে হাড়িভাঙ্গা আম বাজারজাত না করতে আমচাষীদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিতি ছিলেন রংপুর জেলা জামায়াতের আমীর, সহকারী অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি: মাওলানা মোঃ এনামুল হক, বিএনপির জেলা কমিটির সদস্য সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান রানা, নাজমুল হক(ইমন)।
স্বাগত বক্তব্যে মিঠাপুকুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আবেদীন জানান, এবারে মিঠাপুকুরে ১৩০০ হেক্টরজমিতে আম রয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৬০০০ মেট্রিক টন, যাহার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। আম সংরক্ষণের জন্য একটি হিমাগার, রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য আমচাষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে রংপুর শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল সড়ক, সিটি বাজার, লালবাগ, মডার্ন মোড়, ধাপ বাজার, শাপলা চত্বরসহ নগরীর বিভিন্ন হাট-বাজারে উঠতে শুরুকরেছে এই আম। হাট-বাজার ছাড়াও পাড়ামহল্লার অলিগলিতে ফেরি করে হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে প্রতিবারের মতো এবারও শুরুতেই ৫০-৭০ টাকা কেজি দরে আম বিক্রি করছে বিক্রেতারা।