ঢাকা শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘মাদক আমাকে পরিবার, শিক্ষা, স্বপ্ন সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিল’

‘মাদক আমাকে পরিবার, শিক্ষা, স্বপ্ন সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিল’

“মাদক আমাকে পরিবার, শিক্ষা, স্বপ্ন সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করেছিল। কিন্তু এখন আমি পুনর্বাসনের মাধ্যমে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি।”

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আন্তর্জাতিক মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবসের আলোচনা সভায় এক সময়ের মাদকাসক্ত এক তরুণ নিজের করুণ অভিজ্ঞতা এভাবেই তুলে ধরেন।

এর আগে “প্রমাণ স্পষ্ট, প্রতিরোধে বিনিয়োগ করুন। চক্র ভেঙে ফেলুন, সংঘবদ্ধ অপরাধ দমন করুন” এই প্রতিপাদ্যে জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের যৌথ আয়োজনে সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে উৎসববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুনরায় একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার।

সভায় ডিএনসির উপ-পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ বলেন, “মাদক একটি ব্যক্তিকে নয়, গোটা পরিবার ও সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। কেবল আইন প্রয়োগ যথেষ্ট নয়, সামাজিক সচেতনতাই পারে দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন আনতে।”

অনুষ্ঠানে থিম সং ও তথ্যচিত্র “জীবনের পথে ফিরে আসা” প্রদর্শিত হয়, যেখানে ২০২৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত রাজবাড়ী জেলায় চালানো ৮৩৬টি অভিযানের তথ্য তুলে ধরা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে ছিল: হেরোইন: ৬৯ গ্রাম, ইয়াবা ট্যাবলেট: ৪৪৪৪টি, ফেনসিডিল: ৬৭ বোতল, গাঁজা: ১৩ কেজি ৫১০ গ্রাম, টাপেন্টাডল: ৭০টি, পিস্তল: ১টি, চোলাই মদ: ১০ লিটার, বিদেশি মদ: ১ বোতল, গাঁজার গাছ: ১টি।

জেলা প্রশাসক সুলতানা আক্তার বলেন, “তরুণ সমাজ, গৃহস্থ পরিবার ও শ্রমজীবী মানুষ মাদকের প্রধান ভুক্তভোগী। বাহক নয়, গডফাদারদের ধরতে হবে। সমাজ, প্রশাসন ও পরিবারকে একসাথে এগিয়ে আসতে হবে।”

সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উছেন মে। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ, সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) দেবব্রত সরকার প্রমুখ।

আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাদকবিরোধী সচেতনতামূলক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।

মাদক,পাচার,দিবস
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত