মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ব্যস্ততম অংশে একদিনে ৩টি পৃথক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় এবং রাজধানীমুখী হাজার হাজার যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
বুধবার (২ জুলাই) ভোর থেকে দিনভর গজারিয়া অংশে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রথম দুর্ঘটনা ঘটে ভোর আনুমানিক ৪টা ২০ মিনিটে উপজেলার বালুয়াকান্দি এলাকায়। ঢাকা-মুখী লেনে একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে থাকা খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ট্রাকের সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ট্রাকচালক মো. রসিদ (৪৫) ও সহকারী মিজানুর রহমান (৩২) আটকা পড়েন। খবর পেয়ে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে চালক ও সহকারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
এরপর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মেঘনা সেতুর উপর একটি ট্রাক বিভাজকের উপর উঠে গেলে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মহাসড়কে কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। টানা সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত যানজট চলতে থাকে। পরে বেলা ১২টা পর্যন্ত ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করে।
দিনের তৃতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে বিকেল পৌনে ৩টায় উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নের বড়ুইকান্দি ভাটেরচর এলাকায়। ওই সময় আল-আরাফা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস ফুটওভার ব্রিজের পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সামনের অংশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বাসের একাধিক যাত্রী আহত হন।
যাত্রীদের অভিযোগ, চালকের অসাবধানতার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শওকত হোসেন বলেন, “এই মহাসড়ক অত্যন্ত ব্যস্ত। চালকরা নিয়ম না মেনে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর প্রতিযোগিতায় নামে, যার ফলে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। আমরা যানজট নিরসন এবং দুর্ঘটনা রোধে নিয়মিত কাজ করছি।”