কক্সবাজারের উখিয়ায় এক ইউপি সদস্যের নিখোঁজের পর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উঠেছে নানা প্রশ্ন। ৫ বছর আগে হত্যার শিকার ভাইয়ের হত্যাকারীই কি এ হত্যার সাথে জড়িত এমন প্রশ্ন এখন সকলের। পুলিশও এই হত্যা দুটি একই ঘটনার জের কিনা তার তদন্ত শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী এলাকার একটি পাহাড়ি ছড়া থেকে কামাল হোসেন নামের এই ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উখিয়া ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুর্জয় সরকার।
নিহত কামাল হোসেন ওই এলাকার সিদ্দিক আহমদের ছেলে এবং জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। তিনি উখিয়া উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের বরাতে দুর্জয় সরকার জানিয়েছেন, সোমবার রাত ১১টার পর বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিলেন কামাল হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে মনখালী খালে মৃতদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে স্বজনরা এসে মরদেহটি কামাল হোসেনের বলে শনাক্ত করে।
কারা কিভাবে এ ঘটনাটি সংঘটিত করেছে এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে জানিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৮ জুলাই খুন হন কামাল হোসেনের আরেক ভাই জসিম উদ্দিন। ওই দিন মনখালী মেরিন ড্রাইভের পাশ থেকে জসিম উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
মূলত জসিম হত্যায় জড়িতরা কামাল হোসেনকেও হত্যা করেছে বলে দাবি করছেন নিহতের স্বজনরা।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আরিফ হোসাইন জানান, কামাল হোসেনকে হত্যার কারণ বের করতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ২০১৯ সালে ভাইকে হত্যার বিষয়টিও সামনে রেখে এই তদন্ত চালানো হচ্ছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসীম উদ্দিন চৌধুরী এক ক্ষুদে বার্তায় বলেন, উখিয়ায় ইউপি সদস্যের মৃত্যুর ঘটনায় অনেক গণমাধ্যম ‘জবাইকৃত লাশ’ উল্লেখ করেছে, যা বাস্তবে সত্য নয়। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করে তাদের সহযোগিতা করার অনুরোধ করেন তিনি।