কক্সবাজারে ন্যাড়া পাহাড় ও দখলমুক্ত জমিতে সবুজায়নের উদ্যোগ নিয়েছে বনবিভাগ। তার আলোকে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ ২ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে গাছের চারা লাগানো হচ্ছে। এছাড়া রাজস্ব খাত থেকে ১০০ হেক্টর বাগান করা হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সব বাগানের কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গার বসতির কারণে গাছের ক্ষতি হয়েছে এবং যেইসব এলাকায় পাহাড় ন্যাড়া রয়েছে ওই জায়গাতে গাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দক্ষিণ বনবিভাগের ১০টি রেঞ্জ ২ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে গাছের চারা রোপণ করা হচ্ছে। এতে করে ৫১ লাখ ৭৫ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হবে। এছাড়া রাজস্ব খাত থেকে ১০০ হেক্টর বাগান করা হচ্ছে। ২ লাখ ৫০ হাজার গাছের চারা রোপণ করা হবে। তার মতে, ভারি বর্ষণের কারণে চারা রোপণে ব্যাঘাত ঘটেছে কিছুটা। দ্রুত সময়ের মধ্যে চলতি বাগানের কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গতকাল কয়েকটি এলাকায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ন্যাড়া পাহাড় ও দখলমুক্ত জমিতে হরীতকী, আমলকী, গয়রা, গর্জন, চাপালিশ, তেলসুর, বৈলাম, সিভিট, জাম, চাপাতুল, কৃষ্ণচূড়াসহ বিভিন্ন জাতের চারা গাছ লাগানো হচ্ছে।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, বিরান ভূমিতে সবুজায়নে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বড় অবদান রাখবে। বুনো হাতিরা নতুন করে আশ্রয়স্থল (অভয়ারণ্য) ফিরে পাবে। বিরানভূমিতে বনায়ন করে বনকর্মীদের বসে থাকলে চলবে না, বনাঞ্চল রক্ষার্থে পাহারা বসাতে হবে, তা না হলে সৃজিত বনাঞ্চল পুনরায় উজাড় হয়ে যেতে পারে।
উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবদুল মান্নান বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গা ঢলে বনায়নের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এই বছর রেঞ্জের আওতাধীন থাইংখালী সহ ৩২৫ হেক্টর নতুন বাগান করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে নতুন করে বনায়ন করে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এসব বিরানভূমিতে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ চারা রোপণ করা হবে।