বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার অভিযোগে বঙ্গোপসাগর থেকে ভারতীয় দুইটি মাছ ধরার ট্রলার জব্দ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ওই ট্রলার দুটির সঙ্গে থাকা প্রায় আট হাজার কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ট্রলারে থাকা ৩৪ ভারতীয় জেলেকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোংলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, সমুদ্র আইন অনুযায়ী অবৈধভাবে শিকার হওয়া মাছ নিলামে বিক্রির বিধান রয়েছে। সেই অনুযায়ী ইলিশ, বেলে, রূপচাঁদা, ছুরি, চিংড়িসহ মোট ১০ প্রজাতির আট হাজার কেজি মাছ নিলামে বিক্রি হয়েছে ১৭ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকায়। পুরো অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, সোমবার (১৪ জুলাই) গভীর রাতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নিয়মিত টহলের সময় বঙ্গোপসাগরে সন্দেহজনক দুইটি মাছ ধরার ট্রলার শনাক্ত করা হয়। নৌবাহিনীর সদস্যরা ধাওয়া দিলে ভারতীয় জেলেরা পালানোর চেষ্টা করে। পরে ‘এফবি ঝড়’ ও ‘এফবি মঙ্গল চন্ডি-৩৮’ নামের ট্রলার দুটি আটক করা হয়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, আটক ভারতীয় জেলেরা ভারতের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সমুদ্র আইন ও মেরিন ফিশারিজ আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী মোংলা নৌঘাঁটির পেটি অফিসার রেজাউল করিম। মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের নির্দেশে তাদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।