কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত আজিজুর রহমান (৫১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৮ দিন পর মৃত্যুবরণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ভোরে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন।
নিহত আজিজুর রহমান টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভী পাড়ার সৈয়দ আহমেদের ছেলে। তিনি গত ৯ জুন মৌলভী পাড়ায় বিজিবির সাথে গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত হয়েছিলেন।
ইউপি সদস্য বেলাল উদ্দিন বলেন, ওই দিন ঘটনার সময় আজিজুর রহমান সহ আরো ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। আহতরা বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে আজিজুর রহমান মারা যান। দুপুরের দিকে টেকনাফ থানা পুলিশ নিহত আজিজুর রহমানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, নিহতদের পরিবারের পক্ষে বিষয়টি তাকে অবহিত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে আনার প্রক্রিয়া চলছে।
গত ৯ জুন টেকনাফের হ্নীলায় নাফনদীতে জাল বসানোর প্রস্তুতি কালে বিজিবি কর্তৃক এক জেলেকে আটক করে নিয়ে গেলে ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকার লোকজন টেকনাফ কক্সবাজার সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে। পরে সন্ধ্যায় সড়ক অবরোধ তুলে নেয়ার জন্য বিজিবি ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলে স্থানীয় নারীসহ ১১ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় পরের দিন বিজিবি বাদি হয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ঘটনায় আহত ছিলেন আজিজুর রহমান।
ঘটনার পর এই ঘটনায় আজিজুর রহমানের স্ত্রী মরজিনা আকতার বাদী হয়ে গত ৭ জুলাই আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেন। যেখানে বিজিবির সদস্য সহ ১২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচার অভিজিৎ চৌধুরী এটি আমলে নিয়ে বিজিবির সংশ্লিষ্ট ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে টেকনাফ থানাকে নিদের্শ দেন।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, আদালতের নিদের্শ মতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রেরণ করা হয়েছে।