বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে আহত হওয়ায় ব্যক্তিদের সহায়তায় এগিয়ে এল সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে আহত চারজনকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম খায়রুল আলম।
সহায়তার আওতায় আসা ব্যক্তিরা হলেন- বান্দরবানের তুমব্রু ফকিরাঘোনার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. সোনা মিয়া (১৮), তুমব্রু হাসপাতাল পাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মো. আবু তাহের (২৮), কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার তুলাতলী গ্রামের মো. এস আলমের ছেলে মো. করিম হোসেন (২০) ও একই গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মো. মনছুর আলম (৩০)।
কক্সবাজারস্থ ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, ৩৪ বিজিবির আওতাধীন সীমান্তে শূন্য লাইন এলাকায় প্রতিপক্ষ আরাকান আর্মি বা জান্তা বাহিনী মাইন পুঁতে রেখেছে। ওই সীমান্ত এলাকায় বাংলাদেশি নাগরিকগণ জীবিকা নির্বাহের তাগিদে বিভিন্ন সময়ে শূন্য লাইন এলাকায় জমিতে চাষাবাদ, গরু চরানো, বাঁশ ও লাকড়ি সংগ্রহের জন্য যায়। কিন্তু সীমান্তে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণের আঘাতে তারা আহত হচ্ছেন। গত ৬ মাসে ৩৪ বিজিবির আওতাধীন সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে বাংলাদেশি চার নাগরিক আহত হয়েছেন। যাদের অধিকাংশেরই এক পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় বিজিবির মহাপরিচালকের নির্দেশনায় ১ম পর্যায়ে চারজনকে আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। এরপরও তাদেরকে ধাপে ধাপে আরো সহায়তা প্রদান করা হবে।
“বিজিবির দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় জনমনে স্বস্তি ও শান্তি বজায় রাখতে মাইন বিস্ফোরণে/বিভিন্ন দুর্ঘটনায় আহত ও গরিব দুঃস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে।”
লে. কর্নেল এস এম খায়রুল আলম বলেন, সীমান্তে জান্তা বাহিনী কিংবা আরাকান আর্মি মাইন পুঁতে রেখেছে। তাই বাংলাদেশের অভ্যন্তরের সীমান্তের বাসিন্দাদের শূন্যরেখা বা কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে মিয়ানমারে না যেতে বার বার বলা হচ্ছে। সচেতনও করা হচ্ছে বিজিবির পক্ষ থেকে। এটা সীমান্তের বাসিন্দাদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে।