সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চাঁদকাটি বাজারে মাছের রেণু ও পোনার আড়ত বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশীয় জাতের মিঠাপানির রুই, মৃগেল, কাতল, শিং, পাবদাসহ বিভিন্ন মাছের পোনা স্থানীয় ঘের ও পুকুরের চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ করা হচ্ছে অন্যান্য জেলাতেও।
মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, ভোর হলেই ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার চাঁদকাটি সাদা মাছের রেণু ও পোনার এই আড়ত। রাস্তার উপরে কেনা-বেচা চলে প্রায় তিন-চার ঘণ্টা। এখানে ছোট-বড় মিলিয়ে মাছ ব্যবসায়ী রয়েছেন সাড়ে তিন শতাধিক। তাদের হাত ধরে প্রতিদিন প্রায় ৪০ লাখ টাকার মাছের পোনা বিক্রি হয় এখানে।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অবৈধ দখলের কারণে চাঁদকাটি বাজারে গড়ে ওঠেনি স্থায়ী কোনো মাছের আড়ত। কোনো অবকাঠামোগত উন্নয়নও হয়নি।
তালা উপজেলার চাঁদকাটি মৎস্য আড়তের রেনু ও পোনা ব্যবসায়ী মো. সানাউল্লাহ, সেলিম নিকারী, আতাউর বিশ্বাস, জিয়ারুল নিকারি, নূর ইসলাম বিশ্বাস, শরিফুল বিশ্বাসসহ একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, ফাল্গুন মাস থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত ঘের ও পুকুরে মাছ চাষের ভরা মৌসুম। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় আগের তুলনায় বেচাকেনা বেড়েছে কয়েক গুণ। প্রতিদিন প্রায় ৪০ লাখ টাকার সাদা মাছের রেনু ও পোনা বিক্রি হচ্ছে এই আড়তে। সাতক্ষীরা, খুলনাসহ দক্ষিণাঞ্চলের মাছের চাহিদা পূরণে এই আড়তের রয়েছে দারুণ অবদান। প্রতিদিন প্রায় ৪০ লাখ টাকার রেণু-পোনা বিক্রি হয় এই আড়তে।
তারা জানান, চাঁদকাটি বাজারে কোনো উন্নয়ন হয়নি। স্থায়ী কোনো মাছের আড়তও গড়ে ওঠেনি। রাস্তার উপরেই প্রতিদিন তিন-চার ঘণ্টার বাজার বসে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে চাঁদকাটি বাজারে দ্রুত স্থায়ীভাবে রেনু-পোনা মাছের আড়ত নির্মাণের দাবি জানান তারা।
তালা উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দিপা রানী সরকার বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমি খোঁজ-খবর করছি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে আগামী অর্থবছরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হবে।”
সাতক্ষীরা জেলা মৎস্য অফিসার জি.এম সেলিম বলেন, “চাঁদকাটি বাজারে সাদা মাছের পোনার আড়ত একটি সম্ভাবনাময় বাজার। এখানে তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি উন্নতমানের রেনু-পোনা পাওয়ার জায়গা তৈরি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য জেলা মৎস্য বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের বাজারটি উন্নয়নের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া ভাল মানের সাদা মাছের পোনার সোর্স হিসেবেও এটি বেশ ভাল জায়গা।”
