
সিরাজগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী হত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বামী মতিউর রহমান খদগীর ওরফে মতিনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসাথে তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার ভায়াট গ্রামের বাহের আলীর ছেলে।
বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক বেগম সালমা খাতুন এ রায় দেন। ওই আদালতের পিপি এ্যাডঃ মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ২০১০ সালের ২ জুন ওই মতিনের সাথে মানিকগঞ্জের তেরদোনা শোর হেলাচিয়া গ্রামের কাদেরের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। এ বিয়ের কিছুদিন পর থেকে মতিন স্ত্রীর কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে। এ যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মাঝেমধ্যেই নানা রকম নির্যাতন করতো স্বামী। এমতাবস্থায় সাবিনা দীর্ঘদিন ধরে সংসার করে আসছিল এবং ২০১১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে তাড়াশ উপজেলার দক্ষিন মথুরাপুর গ্রমের ধান ক্ষেত থেকে স্ত্রী সাবিনার গলায় ওড়না পেচানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নিহতের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে স্বামীসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ স্বামী মতিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি ও স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিজ্ঞ বিচারক উল্লেখিত রায় ঘোষণা করেন।