ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পদ্মার ভাঙনের কবলে ইউনিয়ন পরিষদ

পদ্মার ভাঙনের কবলে ইউনিয়ন পরিষদ

আগ্রাসী পদ্মা নদীর ভাঙনের কবলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ। নদী থেকে আর মাত্র কয়েক মিটার দূরে ইউনিয়ন পরিষদের ভবন। ভাঙনের ঝুঁকিতে গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলছে এ প্রতিষ্ঠানটি সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম। যার ফলে এখানকার নাগরিকসেবা প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে জুন মাসের শেষের দিকে নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়। এরপর থেকেই নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। তাই সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা পরিষদটি স্থানান্তরের জন্য আবেদন করেন। ভাঙন আরও তীব্র হলে জেলা প্রশাসক ওই পরিষদটি জরুরি ভিত্তিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। এরপরে নারায়ণপুরের জনপ্রতিনিধিরা গত দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই প্রতিষ্ঠানটিকে সরিয়ে নেয়ার কাজ করছেন এবং মালামালগুলো স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে রাখা হচ্ছে। এরপর থেকেই সেখানকার প্রায় সব নাগরিক সেবা স্থবির হয়ে পড়েছে।

নারায়াণপুরে বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারের পদ্মার ভাঙন খুবই তীব্র। সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ মানুষের বিঘা-বিঘা আবাদি জমি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদটিও ভাঙনের শঙ্কা দেখা দেওয়ায় অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। যার কারণে এখানকার নাগরিক সেবা প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে।

নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, এখানকার নাগরিক সেবা একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়নি। প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করছি। আমাদের নির্দিষ্ট একটি জায়গা হলে আবারও নাগরিকসেবার কার্যক্রম পুরোদমে শুরু হবে।

এ বিষয়ে নারায়ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজির হোসেন বলেন, নারায়ণপুরের প্রায় ৪ কিলোমিটারজুড়ে ভাঙন চলছে। ইউনিয়ন পরিষদের ভবন থেকে আর মাত্র কয়েক মিটার দূরে পদ্মা নদীর অবস্থান। সেজন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেয়ে পরিষদটি স্থানান্তরের কাজ চলমান রয়েছে। নাগরিক সেবা একেবারেই থেমে নেই। তারপরেও একটা অফিস ভাঙলে কিছুতো ঘাটতি থাকবেই।

পদ্মা,ভাঙন,ইউনিয়ন পরিষদ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত