ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘রাজনৈতিক, গণমাধ্যম, বিচার ও প্রশাসনের সংস্কারের মাধ্যমে দেশ গড়তে হবে’

‘রাজনৈতিক, গণমাধ্যম, বিচার ও প্রশাসনের সংস্কারের মাধ্যমে দেশ গড়তে হবে’

বাংলাদেশ পলিটিক্যাল থিংকারস (বিপিটি) এর উদ্যোগে "জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি" শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ পলিটিক্যাল থিংকারস এর উদ্যোগে প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর : প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংগঠনের কো-অর্ডিনেটর ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নুর নবীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত কর্ণেল হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক (বরখাস্ত)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি এডভোকেট আতিকুর রহমান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম, জুলাই ঐক্যের সংগঠক ইসরাফিল ফরাজী এবং জুলাই যোদ্ধা হাসনাতুল ইসলাম ফাইয়াজ প্রমুখ।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহীদুল ইসলাম বলেন, জুলাই আগষ্ট বিপ্লব স্মরণ শহীদ আত্মার অস্তিত্বে স্বার্থে প্রয়োজন রাজনৈতিক সংস্কার গণমাধ্যম বিচার ও প্রশাসন সহ ঘুষ সুদ দুনীতি মুক্ত বাংলাদেশ গঠন, কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বলেন নিবার্চন নিবার্চন, আগে সংস্কার পরে নিবার্চন এটা হবে জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবের মূল লক্ষ্য।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চান নাই। তিনি চেয়েছেন ক্ষমতা। অথচ তাকে পুঁজি করে তার মেয়ে বাংলাদেশের মালিক বনে গিয়েছিল। দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছিল। দীর্ঘ সতের বছরের যাঁতাকল থেকে দেশের মানুষকে মুক্তি দিয়েছে জুলাই আন্দোলন। অথচ আজ এক বছর না যেতেই জুলাইয়ের স্মৃতি বিস্মৃত হতে যাচ্ছে। জুলাইয়ের শক্তি সমূহ বিভক্তির ফলে ফ্যাসিবাদের দোসরদের উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে। আমরা ইন্টেরিম সরকারের কাছে আগে ফ্যাসিস্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আহছানিয়া মিশন কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও বিপিটি সদস্য মো. রায়হান চৌধুরী, এক্টিভিস্ট ও বিপিটি সদস্য আরমান শাহাদাৎ জনি, জুলাইয়ের সংগঠক যুবনেতা শামীম হাসনাইন, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরিফ আহমদ, সাংবাদিক নেতা তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া মানিক প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নুর নবী বলেন, ফ্যাসিবাদের দোসরদের থেকে মুক্তি পেতে বাংলাদেশের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা গত জুলাই আন্দোলনে রাস্তায় নেমে এসেছিল। তাদের স্বপ্ন ছিলো একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ। জুলাই আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছে, পঙ্গু হয়েছে আজো তাদের পরিবার চিকিৎসা অভাবে, অবহেলায় দিনাতিপাত করছে। সরকারের সেই দিকে আলোকপাত আশানুরূপ নয়। উপরন্তু ফ্যাসিবাদের এলাবলাররা এখনো অনেক জায়গায় বহাল তবিয়তে বসে আছে। এটা কোন ভাবেই কাম্য নয়। আমরা আশা করি জুলাইয়ের রক্তের সিঁড়ি বেয়ে গদীতে বসা ইন্টেরিম উক্ত বিষয়গুলো গুরুত্বের সাথে দেখবে।

সংগঠনের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীর হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক এক্টিভিস্ট আরমান শাহাদাৎ জনি, বিপিটি এর অন্যতম উদ্যোক্তা জাফর আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম ফিরোজ প্রমুখ।

রাজনৈতিক,গণমাধ্যম,বিচার,প্রশাসন,সংস্কার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত