
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় এক গৃহবধূর মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা কৌশলে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত হলেন বালিয়াটি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য সাজেদা আক্তার।
ভুক্তভোগী মাহাফুজা আক্তার জানান, তিনি জানতেনই না যে তার নামে মাতৃত্বকালীন ভাতা চালু রয়েছে। অথচ গত নয় মাস ধরে তার নামে প্রাপ্ত ভাতার টাকা জমা হচ্ছিল ইউপি সদস্য সাজেদার অবিবাহিত মেয়ের মোবাইল নম্বরে।
জানা যায়, বালিয়াটি ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাজেদা আক্তার, ২ নম্বর ওয়ার্ডের ভাঙ্গাবাড়ি গ্রামের মো. মোখলেজ আলীর মেয়ে মাহাফুজা আক্তারকে গর্ভবতী দেখিয়ে ভাতার আবেদন করেন। তবে আবেদনপত্রে মাহাফুজার নিজের মোবাইল নম্বরের বদলে ব্যবহার করা হয় সাজেদার মেয়ের নম্বর। ফলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রতি মাসে ৮০৫ টাকা করে গত নয় মাসের ভাতার অর্থ ওই নম্বরে পাঠানো হয়।
মাহাফুজা বলেন, "আমি মহিলা মেম্বার সাজেদার কাছে কাগজপত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়েছিলাম। তিনি আমার নম্বর না দিয়ে তার মেয়ের নম্বর ব্যবহার করেন। পরে জানতে পারি, আমার ভাতার টাকা তার মেয়ের বিকাশ নম্বরে জমা হয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের শাস্তি চাই।"
স্থানীয়দের অভিযোগ, সাজেদা আক্তারের বিরুদ্ধে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম নয়। তিনি বিভিন্ন সেবা দিতে গিয়েও আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে অভিযুক্ত। মাতৃত্বকালীন ভাতা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে তিনি লিটন রায়হান, বাদশা ও মাহাফুজাসহ একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। চাপের মুখে কিছু টাকা ফেরতও দিয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য সাজেদা আক্তার দাবি করেন, ‘স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।’
তবে সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইকবাল হোসেন জানান, ‘এই বিষয়ে আমি অবগত নই। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’