
দিনাজপুরের হাকিমপুরে কর্তব্যরত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশের সহায়তায় তাদের গ্রেফতার করে হাকিমপুর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চিকিৎসক মশিউর রহমান ১৩ জনের বিরুদ্ধে হাকিমপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাকিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বাসুদেবপুর এলাকার মো. ওমর ফারুক (৩৫), তার স্ত্রী সুখী খাতুন (৩০), চন্ডিপুর এলাকার লিয়াকত আলীর ছেলে আল মামুন (৩৫), আব্দুর রশিদের ছেলে মো. আমিরুল ইসলাম কদম (৫০), খোকন মণ্ডল (৩৮), শাওন (৩০), সাদ্দান হোসেন (৩৬), ওয়াদুদ হোসেন (৩৬), মো. আলতাফ হোসেন রাজা (৩৫) ও মো. আহসান (৩৬)।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনৈক ফারুক ও তার স্ত্রী ১২ থেকে ১৩ দিন ধরে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা সুস্থ হয়ে ওঠেন এবং বৃহস্পতিবার তাদের রিলিজ নিতে বলা হয়। কিন্তু তারা রিলিজ নিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে চিকিৎসক জরুরি বিভাগে অন্য রোগীদের সেবা দিতে চলে যান।
কিছুক্ষণ পর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মামুনসহ ১০–১২ জন এসে ওই চিকিৎসককে ঘর থেকে বের হতে বলেন ও গালাগালি করেন। একপর্যায়ে তাদের একজন আচমকা চিকিৎসকের মুখে ঘুষি মারতে থাকে এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।
বিষয়টি জানতে চাইলে হাকিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসক মশিউর রহমানকে মারধর করেন স্থানীয় কয়েকজন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।