ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

বেহাল চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়ক এবার নতুন রূপে

বেহাল চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস সড়ক এবার নতুন রূপে

দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা ও দুর্ভোগের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নতুন করে পুনঃসংস্কার হতে যাচ্ছে চাঁদপুর শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস (সাবেক বঙ্গবন্ধু সড়ক)। সড়কটির উন্নয়নে বরাদ্দ হয়েছে ৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই কাজ বাস্তবায়িত হলে শুধু সড়ক নয়, গোটা শহরের যানজট ব্যবস্থাপনাতেও আসবে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন।

জানা গেছে, চাঁদপুর পৌরসভার নতুন আরইউটিডিপি প্রকল্পের আওতায় পুরো শহরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট প্রায় ৫০–৬০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাইপাস সড়কের জন্য ৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার স্টিমেট ইতোমধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী তিন মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে এবং সম্পূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সময় লাগবে প্রায় এক বছর।

নতুন প্রকল্প অনুযায়ী, সড়কটির দুই পাশে ৪ মিটার করে সম্প্রসারণ করে মোট প্রস্থ করা হবে প্রায় ১৬ ফুট। প্রথমে ড্রেনসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক কাজ করা হবে যাতে বর্ষা মৌসুমে আর পানি জমে না থাকে। এরপর হবে পূর্ণাঙ্গ কার্পেটিং এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন। যানজট নিরসনে থাকবে ট্রাফিক ব্যবস্থার আধুনিকায়নের ব্যবস্থাও।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ বাইপাস এবং সাবেক বঙ্গবন্ধু সড়ক শহরের প্রাণকেন্দ্র দিয়ে গেছে। প্রতিদিন হাজারো মানুষ, সিএনজি, অটোরিকশা, প্রাইভেট কার ও পণ্যবাহী যানবাহন এ সড়ক ব্যবহার করে শহরে প্রবেশ ও বাহির হয়ে থাকেন। বিশেষ করে হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজারের সংযোগ থাকায় এর গুরুত্ব অপরিসীম।

তবে বছরের পর বছর ধরে এই সড়কে গর্ত ও ভাঙাচোরা অংশ বেড়েই চলেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। খানাখন্দের কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। আলো স্বল্পতায় সন্ধ্যার পর বাড়ে ঝুঁকি।

সড়কের বর্তমান প্রস্থ মাত্র ১২ ফুট, যা শহরের ক্রমবর্ধমান যানবাহনের জন্য একেবারেই অপ্রতুল। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে পৌরসভা।

চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সুজিত বড়ুয়া বলেন, ‘নতুন আরইউটিডিপি প্রকল্পের আওতায় শহরের জন্য প্রায় ৫০–৬০ কোটি টাকার বাজেট রয়েছে। এর মধ্যে সাবেক বঙ্গবন্ধু সড়কের জন্য ৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকার অনুমোদিত বরাদ্দ পেয়েছি। টেন্ডার প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি তিন মাসের মধ্যে কাজ শুরু হবে এবং এক বছরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে।’

এদিকে শহরবাসীর প্রত্যাশা—এই প্রকল্প যেন বাস্তবায়িত হয় টেকসইভাবে। একাধিক ট্রাকচালক ও অটোরিকশাচালক জানান, ‘এতো গর্ত যে পণ্য পরিবহন করতে সময় ও খরচ—দুটোই বাড়ছে। রাস্তায় ক্ষতি হচ্ছে গাড়ির, আবার যাত্রীরাও ঝুঁকিতে থাকেন। আমরা চাই বরাদ্দ যেন কেবল কাগজে-কলমে না থেকে বাস্তবে রূপ নেয়।’

বাইপাস সড়ক,চাঁদপুর-ফরিদগঞ্জ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত