
বাজারে ফের বেড়েছে পেঁয়াজের ঝাঁঝ। গত তিন দিনের ব্যবধানে মসলাজাতীয় পণ্যটির কেজিতে দাম ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের সরবরাহ পর্যায়ে বিঘ্ন ঘটেছে। বাজারে এর প্রভাব পড়েছে। তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা কোনো কারণ ছাড়াই দাম বাড়াচ্ছেন।
সোমবার (৪ আগস্ট ) উপজেলার আরামবাড়িয়া, বরইচড়া, জয়নগর, সাহাপুর, আওতাপাড়া,দাশুড়িয়া, পাকশী, রূপপুর, মুলাডুলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি ভালো মানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। অপেক্ষাকৃত কম ভালো মানেরটা বিক্রি হচ্ছে ৬৭ টাকা থেকে ৭০ টাকা। তবে পাড়া-মহল্লার দোকানে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে।
উপজেলার আসনা গ্রামের বাসিন্দা মহিউদ্দিন বলেন, গত তিনদিন আগে আরামবাডিয়া বাজার থেকে ১ কেজি পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৫০ টাকায়। আজ সোমবার তিনি আবার একই বাজার থেকে একই দোকান থেকে ১ কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন, তবে এবার দাম দিতে হয়েছে কেজিতে ৮০ টাকা। অর্থাৎ তিন দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা।
একই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী খোকন আলী বলেন, বাজারে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বাড়লেও গত বছরের এই সময়ের তুলনায় এখনও অনেক কম। গেল বছরের এই সময় পেঁয়াজের কেজি ছিল ১০৫ থেকে ১২০ টাকা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। বাজারে এখন যেসব পেঁয়াজ বেচাকেনা হচ্ছে সেগুলো সবই দেশি। কোনো দেশ থেকে এখন পেঁয়াজ আসছে না। দেশের পেঁয়াজ দিয়েই চলছে বাজার। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে দাম বেড়েছে। গত তিন-চার দিনে পাইকারি মোকামে প্রতি মণে বেড়েছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে। তার ভাষ্য, এবার পেঁয়াজের উৎপাদন ভালো হয়েছে। তাই দাম বেশি বাড়বে না।
উপজেলা আওতাপাড়া কাঁচাবাজার থেকে ৮০ টাকা দরে দুই কেজি পেঁয়াজ কিনেছেন মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘ ৩-৪ দিন আগে পেঁয়াজ কিনেছিলাম ৫০ টাকা কেজি দরে। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজে কিনতে হলো ৩০ টাকা বেশি দাম দিয়ে।
পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ী ও আড়তদারেরা জানান, জমিতে এখন আর কোনো পেঁয়াজ নেই। সব পেঁয়াজ কৃষকের ঘরে উঠে গেছে। এসব পেঁয়াজের বেশির ভাগই কৃষক নিজেরা ও মজুতদারেরা কিনে সংরক্ষণ করছেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে দাম আরও বাড়বে, এমন আশায় তারা বাজারে কম পরিমাণে পেঁয়াজ আনছেন।