
চাঁদা না দেওয়ায় চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া দুই স্কুল শিক্ষার্থীর মুক্তি ও সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সাটুরিয়া প্রেসক্লাব কার্যালয়ে লিখিত সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আকাশের পিতা বিল্লাল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিল্লাল হোসেন জানান, সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের সাভার এলাকার সফিকুল ইসলাম, উজ্জল মিয়া, মান্নান উদ্দিন, জীবন আহমেদ জয়, নুরুল ইসলাম, মামুন, মাহবুব ওরফে নজরুল ইসলাম ও মিলনসহ কয়েকজন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে তাদের পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, তাদের দাবি অনুযায়ী ২৩ জুলাই চাঁদা না দেওয়ায় বর্বর হামলার শিকার হয় তার সন্তানসহ দুই শিক্ষার্থী। ওইদিন বালিয়াটি দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আলমগীর হোসেন (১২), পিতা লাল মিয়া—কে দাদার বাড়ি সাভার বাজারের সেলুনের পাশ থেকে এবং আব্দুর রহমান খান উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আকাশ (১৬) কে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করে সফিকুল ইসলামের সারের দোকানে নিয়ে গিয়ে সাটার বন্ধ করে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।
বিল্লাল হোসেন আরও বলেন, মান্নান ‘প্লাস’ দিয়ে আকাশের ডান পায়ের মাংস ছিঁড়ে ফেলে। পরে অন্যরা গলায় চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল পর্যন্ত টানা নির্যাতন করে। এরপর চুরির অপবাদ দিয়ে থানায় সোপর্দ করে।
তিনি অভিযোগ করেন, ঘটনার পর ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আকাশের মা মোছা. পারুল বেগম, দাদা আলমাস, এলাকাবাসী আলিম, সামছুল হকসহ অনেকে। এ সময় স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহিনুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের আটক করে আদালতে পাঠানো হয়। যেহেতু তাদের বয়স কম, তাই আদালত তাদের কিশোর অপরাধ সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।