
রাজশাহীর পুঠিয়ায় দ্রুতগামী বাসের চাপায় চার্জার ভ্যানের চালক ও ২ জন মহিলা যাত্রী সহ মোট ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো ৩ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯ টার দিকে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলা সদরে গোপালহাটি নামকস্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাতেই পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেসে শরিফা বেগম আর বুধবার ভোররাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যান চালক মোহাম্মদ আলী এবং বুধবার দুপুরে দুর্ঘটনা আশুরা বেগম মৃত্যু বরণ করেন।
জানা গেছে, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পুঠিয়া উপজেলা সদরে গোপালহাটি নামকস্থানে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা রাজশাহী গামী দ্রুত গামী একটি বাস পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারাপুরগামী ৫ জন যাত্রী সহ একটি ৩ চাকার চার্জার ভ্যানকে পিছন দিক হতে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ভ্যানটি ছিটকে রাস্তার বাম পাশে খাদে পড়ে যায়। ভ্যান চালকসহ ভ্যানে থাকা অপর ৫ জন যাত্রী শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর রক্তাক্ত জখমপ্রাপ্ত হয়। গুরুতর আহত ব্যক্তিদেরকে স্থানীয় জনসাধারণ, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার করে পুঠিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে গুরুতর জখমপ্রাপ্ত পুঠিয়া উপজেলার তারাপুর গ্রামের মো. মাহাবুর রহমানের স্ত্রী শরিফা বেগম (৪০) কে মৃত ঘোষণা করেন।
এ সময় আরো ৫ জন আহতরা হলেন- পুঠিয়া উপজেলার তারাপুর গ্রামের মো. আসলাম আলীর স্ত্রী মোসা. রাশিদা (৪১), মো. মালেক হোসেনের স্ত্রী মোসা. শরিফা বেগম (৪০), মো. মিজান আলীর স্ত্রী মোসা. বৃষ্টি খাতুন (৩৫), দইপাড়া গ্রামের মো. ইব্রাহীম হোসেনের স্ত্রী মোসা. আশুরা বেগম (৫৫) এবং দইপাড়া গ্রামরে শাহাজাহান আলীর পুত্র ভ্যান চালক মোহাম্মদ আলী (৪২) এর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরে বুধবার ভোররাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভ্যান চালক মোহাম্মদ আলী এবং বুধবার দুপুরে মোসা. আশুরা বেগম মৃত্যু বরণ করেন।
পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাটে অবস্থিত পবা হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী জানান, এ ব্যাপারে সড়ক পরিবহণ আইনে নিয়মিত মামলা হয়েছে। এই পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। আর গাড়ি শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।