
মুন্সীগঞ্জ পৌর শহরে অটো রিকশার ভাড়া নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। চালকরা যাত্রীদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করলেও পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এতে সাধারণ মানুষের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া গুনে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অটো রিকশার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা নেই। চালকরা নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া হাঁকছেন এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। আগে যেখানে ভাড়া ছিল ১০ টাকা, সেখানে এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে। দূরত্ব কম হলেও বাড়তি ভাড়া দাবি করা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, পৌরসভা এ বিষয়ে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং যাত্রীদের অভিযোগ থাকলেও তা গুরুত্ব সহকারে দেখা হয় না।
এক যাত্রী বলেন, “প্রতিদিন শহরের বিভিন্ন এলাকায় কাজের জন্য যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু এখন যে হারে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে, তাতে চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। পৌরসভা যদি নির্দিষ্ট ভাড়া নির্ধারণ করে এবং কঠোর মনিটরিং চালাতো, তবে এ সমস্যা সমাধান হতে পারতো।”
সন্ধ্যার পর (রাত ৮টার পর) ভাড়া দ্বিগুণ হয়ে যায়। অন্যদিকে, একাধিক অটো রিকশা চালক জানিয়েছেন, প্রতিদিন তাদের গাড়ির জমা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, চার্জ বিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, ট্রাফিক সমস্যার পাশাপাশি রক্ষণাবেক্ষণ খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে তারা বাধ্য হয়ে ভাড়া বাড়াচ্ছেন।
শহরের খালিষ্ট এলাকার এক ছাত্রের অভিভাবক ফরিদ বলেন, সকালে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে যাওয়ার সময়ও চালকরা নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বেশি নেয়।
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার প্রধান সহকারী শহিদুল ইসলাম জানান, ‘অটো রিকশার লাইসেন্স এবং শহরে অটোরিকশার সংখ্যা নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি মিটিং চলতি মাসের ১৮ তারিখে হবে। জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নান মহোদয়া বিষয়টি অবগত আছেন এবং ইতিমধ্যে একটি কমিটি গঠন করেছেন। লাইসেন্স প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে ভাড়া নিয়ন্ত্রণে আনতে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং যাত্রীসেবার মান নিশ্চিত করতে নিয়মিত মনিটরিং জোরদার করা হবে।’
তিনি আরও জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত এবং সাধারণ মানুষের হয়রানি বন্ধে দ্রুত নির্দিষ্ট ভাড়ার তালিকা প্রকাশ ও তা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।