
রাজবাড়ীতে ব্র্যাক ব্যাংক শাখা থেকে সৌদি প্রবাসীর ৯ লাখ ১ হাজার ৭৩০ টাকা গায়েবের চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় সোমবার (১১ আগস্ট) রাজবাড়ীর মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনাল আদালতে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলাটি দায়ের করেছেন জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের গাড়াকোলা গ্রামের সৌদি প্রবাসী মো. বাবুল হোসেন।
আসামিরা হলেন, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার রায়পুরের খান ফার্মেসীর আবু দাউদ, মনিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গার নিঝুম টেলিকমের মো. হাইসাম খান, নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটির নিঝুম টেলিকমের মিসেস খাতেজা খাতুন, লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার স্নিগ্ধা ফার্মেসীর মো. আলামিন ইসলাম এবং রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুশকরণী গ্রামের মো. রেজোয়ান ছাগির।
মামলার এজাহারে প্রবাসী বাবুল হোসেন উল্লেখ করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবে থাকেন এবং উপার্জিত অর্থ ব্র্যাক ব্যাংক রাজবাড়ী শাখায় জমা রাখেন। গত ১৬ জুলাই দেশে ফেরার পর ৩০ জুলাই টাকা উত্তোলনে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান, তার হিসাবে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ টাকা নেই।
হিসাব বিবরণীতে দেখা যায়, গত ২১ জানুয়ারি থেকে পর্যায়ক্রমে তার হিসাব থেকে আসামিদের হিসাবে মোট ৯ লাখ ১ হাজার ৭৩০ টাকা স্থানান্তর করা হয়েছে, যার মধ্যে আবু দাউদ ও হাইসাম খানের হিসাবে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে, খাতেজা খাতুনের হিসাবে ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, আলামিন ইসলামের হিসাবে ২৫ হাজার টাকা এবং রেজোয়ান ছাগিরের হিসাবে ১ লাখ ৩১ হাজার ৭৩০ টাকা।
বাদী দাবি করেন, তিনি সৌদি আরবে অবস্থানকালে কোনো চেক ইস্যু বা লেনদেন করেননি। ব্যাংক বিবরণী ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে দেখা যায়, আসামিরা যোগসাজশে ব্যাংকিং তথ্য হ্যাক করে ফিশিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে টাকা নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে আসামিদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহসান হাবীব নিউটন জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।