
উজানের ঢল ও বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে প্রায় ১৩ সে. মিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসাথে যমুনার তীরবর্তী ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। এ ভাঙ্গনে বহু বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাজমুল হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে যমুনার তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং আখ ও পাটসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে ডুবে গেছে। সেইসাথে যমুনার তীরবর্তী ওই ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে।
যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবার বন্যার আশঙ্কা করছে যমুনা পাড়ের মানুষ। বিশেষ করে কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া, মাইজবাড়ী, খাসরাজবাড়ী, মনসুর নগর, চরগিরিশ, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রয়েছে আরো অনেক পরিবার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি। এ ভাঙ্গনে অনেক পরিবার ইতোমধ্যেই সর্বস্ব হারিয়েছে। অবশ্য স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে বাঁধ এলাকায় কঠোর নজর রাখছে।
অপরদিকে যমুনা নদীতে আরো কয়েকদিন পানি বাড়তে পারে। তবে এবার বড় ধরনের বন্যার তেমন আশঙ্কা নেই। এ বিষয়ে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গনের বিষয়ে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।