ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হোসেনপুরে পানের বাজারে ধস, লোকসানের শঙ্কায় চাষিরা

হোসেনপুরে পানের বাজারে ধস, লোকসানের শঙ্কায় চাষিরা

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় পানের দাম ক্রমাগত কমে যাওয়ায় লোকসানের শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় পান চাষীরা। বৈরী আবহাওয়ায় বরজ নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বাজারে দাম কমে যাওয়ায় ভবিষ্যতে পান চাষের আগ্রহও কমে যাচ্ছে। অনেক চাষী ঋণ নিয়ে চাষ করায় হঠাৎ কম দামে বিক্রি করতে গিয়ে আর্থিক ঝুঁকিতে পড়েছেন।

উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য পানের বরজ রয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা বাড়ির পাশে, উঠোন বা অন্যান্য জমিতে পান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। উৎপাদিত পান স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী উপজেলা ও জেলা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, গোবিন্দপুর, সুরাটি, সিদলা, জাহাঙ্গীরপুর, পিতলগঞ্জ, ভরুয়া ও হারেঞ্জা এলাকায় পানের বাজারে দাম ব্যাপকভাবে কমেছে। পাইকারি পর্যায়ে বড় সাইজের পান কুড়ি প্রতি দাম ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত নেমে এসেছে, যেখানে আগে এটি ৫–৬ হাজার টাকা পর্যন্ত ছিল। মাঝারি সাইজের পানও ২০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর হোসেনপুরে প্রায় ৩৫ হেক্টর জমিতে পান চাষ হয়েছে। বর্ষাকালে উৎপাদন বেড়ে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমে যায়। চাষীরা অভিযোগ করছেন, বাজারে সিন্ডিকেটের প্রভাব থাকায় দাম আরও কমছে।

ভরুয়া গ্রামের খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘১৭ শতকের বরজ থেকে আগে বছরে ১.৫ লাখ টাকা আয় হতো, এবার দাম কম হওয়ায় ৫০–৬০ হাজার টাকার বেশি বিক্রি হবে না।’ গোবিন্দপুরের রতন মিয়াও একই পরিস্থিতি বর্ণনা করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির বলেন, ‘পান দীর্ঘমেয়াদি কাঁচা ফসল। বর্ষাকালে উৎপাদন বেড়ে সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে দাম কমে যায়। তবে বর্ষা শেষে ন্যায্য দাম পেলে চাষিরা লোকসান পুষিয়ে নিতে পারবেন।’

শঙ্কায় চাষিরা,পানের বাজারে ধস,হোসেনপুর
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত