
বিয়াইয়ের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় লজ্জায় আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে কুড়িগ্রাম সদরের এক গৃহবধূ আফরোজা বেগমের (৪৫) বিরুদ্ধে।
কুড়িগ্রাম সদরের ঘোগাদহ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সোনালীরকুটি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাকিমের মেয়ের বিয়ে হয় ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের চিলকিরপাড় গ্রামের মিজানের ছেলের সঙ্গে। এই বৈবাহিক সম্পর্কের সূত্র ধরে মেয়ে হ্যাপী আক্তারের শ্বশুর মিজান নিয়মিত শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় আফরোজা বেগমের বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
এলাকাবাসীর দাবি, আফরোজা বেগমের স্বামী ও ছেলে দুজনেই বাইরে কাজ করতেন। সেই সুযোগে বিয়াই মিজানের সঙ্গে আফরোজার ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। গত ১২ আগস্ট (মঙ্গলবার) আফরোজা বেগম, মেয়ে হ্যাপী ও বিয়াই মিজান একসঙ্গে হাসপাতালে চিকিৎসা পত্র আনতে যান।
পরে ওই রাতেই মিজান আফরোজার বাড়িতে আসেন এবং রাতের আঁধারে তার ঘরে প্রবেশ করেন। অভিযোগ অনুযায়ী, শারীরিক সম্পর্কের সময় আফরোজার দেবর তাইজুদ্দিন, তার স্ত্রী জহুরা বেগম এবং মহুবরের স্ত্রী জোৎসনা ঘটনাটি দেখে ফেলেন। বিষয়টি ধরা পড়তেই মিজান দ্রুত সরে পড়েন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে ১৩ আগস্ট (বুধবার) দিবাগত রাতে আফরোজা বেগম নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যাকারীর দেবরের স্ত্রী জহুরা বেগম জানান, মঙ্গলবার রাতের ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে পরদিন আফরোজা বেগম এলাকাবাসীকে গালিগালাজ করেন। শেষ পর্যন্ত লজ্জা সহ্য করতে না পেরে বুধবার রাতে তিনি আত্মহত্যা করেন।
ঘোগাদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বলেন, ফাঁসি দিয়ে মৃত্যুর খবর পেয়ে পুলিশকে জানিয়েছি।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি হাবিবুল্লাহ জানান, ‘এ ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’