
পাবনার ঈশ্বরদীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে দুদিন ধরে অনশনে বসেছেন মোছা. সুমাইয়া খাতুন (১৯) নামে এক নারী। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
বুধবার (১৩ আগস্ট) রাত ৯টা থেকে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেল পর্যন্ত উপজেলার আওতাপাড়া বাজার সংলগ্ন মো. বাপ্পি সরদারের বাড়িতে ওই নারীকে অনশনে বসে থাকতে দেখা যায়।
জানা গেছে, উপজেলার আওতাপাড়া গ্রামের মো. মুন্নু সরদারের ছেলে বাপ্পি সরদারের সঙ্গে প্রায় ৬ মাস আগে ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সুমাইয়ার। পরে তারা রূপপুর এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কের পর সম্প্রতি বাপ্পি যোগাযোগ বন্ধ করে দেন এবং বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়া বাপ্পির বাড়িতে গিয়ে অনশনে বসেন। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়ার আগে একবার বিয়ে হয়েছিল এবং তার চার বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। প্রায় এক বছর আগে ডিভোর্স হওয়ার পরই বাপ্পির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
ভুক্তভোগী সুমাইয়া খাতুন বলেন, ‘বাপ্পি বিয়ের আশ্বাস দিয়ে আমার সঙ্গে বসবাস করেছে। আমি তার জন্য আমার ৪ বছরের সন্তান রেখে চলে এসেছি। এখন সে বিয়ে করতে অস্বীকার করছে। বাপ্পি যদি বিয়ে না করে তবে এখান থেকে আমার লাশ যাবে।’
প্রেমিক বাপ্পি সরদারের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ঈশ্বরদী থানার ওসি মো. আ স ম আব্দুন নূর জানান, ‘দুই পক্ষের কারো কাছ থেকেই কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শুনেছি, সমাধানের জন্য উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে।’