
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভোলাগঞ্জ থেকে সাদা পাথর লুট ও চুরির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দেড় হাজার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব।
মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজায়ের আল মাহমুদ আদনান। তিনি জানান, মামলার বাদি খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ারুল হাবীব। মামলায় এক থেকে দেড় হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কিছু দুষ্কৃতকারী গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী সময়ে গেজেটভুক্ত পাথর কোয়ারি থেকে অবৈধ ও অননুমোদিতভাবে কোটি কোটি টাকার পাথর লুটপাট করেছে মর্মে বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত রয়েছেন, তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
এজাহারে আরও বলা হয়, সরকারি গেজেটভুক্ত কোয়ারি থেকে এ ধরনের লুট বা চুরি খনি ও খনিজ সম্পদ (নিয়ন্ত্রণ ও উন্নয়ন) আইন, ১৯৯২-এর ধারা ৪(২)(ঞ) এবং খনি ও খনিজ সম্পদ বিধিমালা, ২০১২-এর বিধি ৯৩(১)-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এছাড়া দণ্ডবিধি, ১৮৬০-এর ৩৭৯ ও ৪৩১ ধারার অপরাধও সংঘটিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্টের পর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর তীরবর্তী সাদাপাথর এলাকা থেকে পাথর চুরি করা হয়। সম্প্রতি লুটপাটের কিছু ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এরপরই প্রশাসনের অবস্থান কঠোর হয়। লুট হওয়া পাথর উদ্ধারে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে জেলা প্রশাসন বিশেষ অভিযান শুরু করে।
এদিকে, গতকাল পর্যন্ত আনুমানিক ১ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পাথরগুলো পুনরায় ধলাই নদীতে প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।