ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সিলেটে অবৈধ মজুদকৃত আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫

সিলেটে অবৈধ মজুদকৃত আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৫

সিলেট সদর উপজেলার ধোপাগুল এলাকায় অবৈধভাবে স্থাপিত স্টোন ক্রাশার মিলের আড়ালে মাটি ও বালুর নিচে মজুদ করা আড়াই লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করেছে টাস্কফোর্স। উদ্ধারকৃত পাথরগুলো সাদাপাথর ও জাফলং এলাকা থেকে সম্প্রতি লুট করা হয়েছিল।

শনিবার দুপুরে ধোপাগুল এলাকার বিভিন্ন ক্রাশার মিল ও বসতবাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব পাথর উদ্ধার করা হয়। অভিযানটি সিলেট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা খোশনূর রুবাইয়াতের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধোপাগুলে অভিযান চালানো হয়। মহালধিক গ্রামে বসতবাড়ির আশেপাশে ও ক্রাশার মিলের মাটি-বালুর নিচে পাথরের সন্ধান মেলে। উদ্ধারকৃত পাথরগুলো পুনরায় সাদাপাথর এলাকায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

অভিযানে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও অংশ নেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত সিলেট জেলায় প্রায় চার লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করা হয়েছে।

একই দিনে গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি এলাকা থেকে আরও ২৫০০ ঘনফুট সাদা পাথর জব্দ করা হয়। এই অভিযান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রতন কুমার অধিকারীর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়।

এদিকে শুক্রবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় প্রায় দুই হাজার অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় খনিজ সম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে। মামলা দায়েরের পর রাতে অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুজন কর্মকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি পাথরবাহী ট্রাকসহ দুই জন এবং কালাইরাগ এলাকা থেকে আরও তিন জনকে আটক করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— মোহাম্মদ কামাল মিয়া পিচ্চি কামাল (৪৫), কালাইরাগ গ্রামের মৃত সিকন্দর আলীর ছেলে, মো. আবু সাঈদ (২১), কালাইরাগ গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে, আবুল কালাম (৩২), নাজিরের গাও এলাকার মৃত মনফর আলীর ছেলে, ইমান আলী, কোম্পানীগঞ্জের লাছুখাল, জাহাঙ্গীর আলম (৩৫), একই গ্রামের শহীদ মিয়ার ছেলে।

টাস্কফোর্সের অভিযান ও গ্রেপ্তারের মাধ্যমে প্রশাসন পাথর লুটপাট বন্ধে কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

গ্রেপ্তার ৫,পাথর উদ্ধার,আড়াই লাখ ঘনফুট,সিলেট
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত