বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, সমাজকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখলে সবাই নিজ নিজ ধর্ম পালন করে সম্প্রীতিতে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ধর্মের নামে বিভাজন সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটেছে।
শনিবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহরের মুজিব সড়কে মওলানা ভাসানী কলেজের সামনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
টুকু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সবার চরিত্র একই রকম। তারা অন্যের সহায়-সম্পদ দখল করেছে, গুম-খুন-হত্যা-নির্যাতন চালিয়েছে এবং রাষ্ট্রের সম্পদ লুট করেছে। সিরাজগঞ্জের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘরের ৯৫ ভাগই আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তরা দখল করে নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগে প্রতিবেশীরা মিলেমিশে সব ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করতো। হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান— কারও মধ্যে বিভাজন ছিল না। কিন্তু রাজনীতির কারণেই সমাজে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে। জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানের পর হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই আমি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তাদের বলেছি, নির্ভয়ে বসবাস করুন ও ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যান। আপনাদের আঘাত লাগলে তা আমার আত্মায় আঘাত লাগে। আমি সবাইকে সঙ্গে নিয়ে সিরাজগঞ্জকে সাত রঙের মানুষের সহাবস্থানের শহরে পরিণত করতে চাই।’
জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট কল্যাণ সাহার সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, সহ-সভাপতি বাবু অমর কৃষ্ণ দাস, সত্য নারায়ণ সারদা প্রমুখ।
এ সময় পূজা উদযাপন পরিষদসহ সনাতনী সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের নেতা এবং রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জন্মাষ্টমীর আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
