পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জে ৩৬ সে. মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই যমুনার তীরবর্তী ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং আরো নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। পাটসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেডকোয়ার্টার) নাজমুল হোসাইন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, কয়েক সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও দফায় দফায় বর্ষণে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে যমুনার তীরবর্তী কাজিপুর, বেলকুচি, শাহজাদপুর, চৌহালী ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। সেইসাথে যমুনার তীরবর্তী ওই ৫টি উপজেলার চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে।
এদিকে যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এবার বন্যার আশঙ্কা করছে যমুনা পাড়ের মানুষ। বিশেষ করে কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া, মাইজবাড়ী, খাসরাজবাড়ী, মনসুর নগর, চরগিরিশ, তেকানী, নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন চরে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
এ ভাঙ্গনে হুমকির মুখে রয়েছে আরো অনেক পরিবার ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি। যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় অনেক বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। অবশ্য স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে বাঁধ এলাকায় কঠোর নজর রাখছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে এবার বড় ধরনের বন্যার তেমন আশঙ্কা নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
