
কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার দিগদাইড় গ্রামে সরকারি হালট দখল করে বাড়িঘর নির্মাণ এবং জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পাশে আবদুল জব্বার ওরফে জনু মিয়ার বাড়ি থেকে আবদুল আহাদ মুন্সির বাড়ি পর্যন্ত সরকারি হালটের জায়গায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বাড়িঘর গড়ে তুলেছেন আবদুল জব্বার, আবু বকর সিদ্দিক ওরফে লাল মিয়া, আবুল কালাম, আবুল হাশেম, আবুল কাশেম ও হারেছ মিয়াসহ কয়েকজন। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে দখল চললেও এখনো কর্তৃপক্ষ তা উদ্ধার করতে পারেনি।
এদিকে হালট দখল থাকায় বহুদিন ধরে স্থানীয়রা আবদুর রশিদের ব্যক্তিগত জমি দিয়ে যাতায়াত করছিলেন। তবে সম্প্রতি তিনি বাঁশ দিয়ে সেই রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় চলাচলে চরম ভোগান্তি শুরু হয়েছে।
আবদুর রশিদ বলেন, “মানবিক কারণে আমি আমার জায়গা দিয়ে লোকজনকে চলাচলের সুযোগ দিয়েছি। কিন্তু সরকারি হালট দখলমুক্ত করার জন্য আমি বারবার আবেদন করলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।”
দখলদারদের একজন আবদুল জব্বার বলেন, “এটা সরকারি হালট সবাই জানে। তবে শুধু আমাদের কেন ছাড়তে হবে? অন্যরা ছাড়লে আমরাও ছাড়ব।”
এ বিষয়ে দিগদাইড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এরশাদ উদ্দিন ভূঞা বলেন, “কয়েকজন ব্যক্তি সরকারি হালটের ওপর বাড়িঘর ও টিনের বেড়া দিয়ে রেখেছেন। এ নিয়ে প্রায়ই বিরোধ সৃষ্টি হয়। আশা করছি দ্রুত এ সমস্যা সমাধান হবে।”
ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন ভূঞা বলেন, “রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদেরও স্কুলে যেতে ভোগান্তি হচ্ছে। আমি আবদুর রশিদকে এক পাশ খোলা রাখতে বলেছি। শনিবার ইউনিয়ন পরিষদে বসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকারি হালট উদ্ধারে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।”