
সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পুলিশ ও স্বজনদের উপস্থিতিতে ময়নাতদন্ত করা হয়। এরপর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ বন্দরের কলাগাছিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি মোহাম্মদ ছালেহ আহাম্মদ পাঠান মরদেহ তুলে দেন বিভুরঞ্জনের ভাই চিররঞ্জন সরকারের কাছে। এসময় মুন্সীগঞ্জের স্থানীয় সাংবাদিকরা মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আহাম্মদ কবির জানান, সকাল ১০টায় ময়নাতদন্ত শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর ১২টার দিকে। দুপুর ১টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, ‘বিভুরঞ্জন সরকারের দেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ফরেনসিক রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
এরপর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে গজারিয়া উপজেলার চর বলাকী এলাকায় মেঘনা নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে নৌপুলিশ। রাতে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বাসা থেকে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বিভুরঞ্জন সরকার। তিনি তার মোবাইল ফোন ও ট্যাব বাসায় রেখে গিয়েছিলেন। পরিবারের সদস্যরা না পেয়ে ওই রাতে ছেলে ঋত সরকার রমনা থানায় একটি জিডি করেন।
ছোট ভাই চিররঞ্জন সরকার জানান, ‘আমরা ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করব।’