ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ধান খেতে আগাছা দমনে কীটনাশক ব্যবহার, শ্রমিক খরচ হ্রাস

ধান খেতে আগাছা দমনে কীটনাশক ব্যবহার, শ্রমিক খরচ হ্রাস

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চলতি রোপা আমন মৌসুমে ধান খেতে আগাছা দমনে কৃষকরা আগাছানাশক ওষুধ ব্যবহার করছেন। এতে ধানখেতে নতুন আগাছা জন্ম নেয় না, ফলে শ্রমিকের প্রয়োজন কমে গেছে। একদিকে শ্রমিক সংকট ও মজুরি বেশি, অন্যদিকে তুলনামূলক কম খরচে আগাছা নিয়ন্ত্রণ করতে পেরে কৃষকরা সন্তুষ্ট।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি রোপা আমন মৌসুমে ৮,৩৫০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ হয়েছে। ধানখেতে আগাছা পরিষ্কার করার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। আগাছার কারণে ধানের চারা স্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায় না। তাই কৃষকরা বিভিন্ন কোম্পানির আগাছানাশক ওষুধ ব্যবহার করে খেতের আগাছা নিয়ন্ত্রণ করছেন।

বর্তমানে একজন শ্রমিকের মজুরি দিনে ৬০০–৮০০ টাকা। এক একর জমি আগাছা পরিষ্কারের জন্য ৫–৬ জন শ্রমিকের প্রয়োজন হয়, ফলে খরচ হয় প্রায় ২,০০০–২,৫০০ টাকা। তুলনায়, বিভিন্ন কোম্পানির আগাছানাশক যেমন ইনতেফা কোম্পানির লুবাদা (১০০ গ্রাম, ১৮০ টাকা), পেট্রোকেম কোম্পানির অল মিক্স (১০০ গ্রাম, ১৮০ টাকা), আলফা কোম্পানির সিরিয়াস (৭৫ গ্রাম, ২০০ টাকা), সিনজেনটা কোম্পানির লেজার (১০০ গ্রাম), এসিআই কোম্পানির সুপারপাওয়ার (১০০ গ্রাম), সেমকো কোম্পানির সাথী (৮০ গ্রাম) প্রয়োগ করলেই এক একর জমি পরিষ্কার করা সম্ভব। ফলে কৃষকরা শ্রমিকের তুলনায় কম খরচে ধানের উৎপাদন খরচ কমাতে পারছেন।

উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের চরকাটি হারী গ্রামের রোকনউদ্দিন, সিদলা গ্রামের মফিজউদ্দিন, আড়াইবাড়িয়া গ্রামের লোকমানসহ অনেক কৃষক জানান, শ্রমিকের অভাবে আমরা আগাছানাশক ওষুধ ব্যবহার করে অনেক সাশ্রয়ী হতে পারছি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একে এম সাজাহান কবির বলেন, সঠিক সময়ে ধান খেতে আগাছানাশক ওষুধ প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে যেকোনো ধরনের বালাই-নাশক ওষুধ পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে।

শ্রমিক খরচ হ্রাস,কীটনাশক ব্যবহার,ধান খেতে আগাছা দমন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত