ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অভিযোগ দোকান কর্মচারীর বিরুদ্ধে

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, অভিযোগ দোকান কর্মচারীর বিরুদ্ধে

ঠাকুরগাঁওয়ে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য, মানুষকে বিপদে ফেলে টাকা আদায় করাসহ নানা অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে মিজানুর রহমান মিজান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের কিছু বখে যাওয়া সদস্যের মদদে এসব অপকর্ম করে যাচ্ছেন তিনি।

মিজান স্থানীয় একটি দোকানের কর্মচারী। তার আদি বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায়।

প্রায় ২০ বছর আগে তার পরিবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের আরাজী ঢাঙ্গীপুকুর গ্রামে বসবাস শুরু করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দাখিল পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও হঠাৎই ‘সমন্বয়ক’ পরিচয়ে চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্য ও বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, মিজানের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন সবাই। ইতিমধ্যে ভিটে ছাড়া হয়েছেন এক আদিবাসী পরিবারও। স্থানীয়রা বলেন, পুলিশের সহায়তায় মিজানকে দিয়ে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড করানো হচ্ছে। এমনকি এক ঘটনায় গ্রামবাসীর তোপের মুখে পুলিশ ও মিজান দুজনকেই ক্ষমা চাইতে হয়েছে।

মিলনপুর হাটপুকুরী গ্রামের আলাল উদ্দীন জানান, নারী সংক্রান্ত ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে আটকের পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যেতে দেরি করে। পরে সমন্বয়ক মিজানকে নিয়ে আসায় গ্রামবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে। এসময় পুলিশ ও মিজান উভয়েই ক্ষমা চান। একই অভিযোগ করেন ফারুক হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রউফ।

এছাড়া স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মিজান বিভিন্ন সময় চাঁদা আদায়, হুমকি-ধামকি দিয়ে মানুষকে হয়রানি করেছেন। এক আদিবাসী পরিবার জানায়, তাদের কাছ থেকে একাধিকবার টাকা আদায় করা হয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে মারধর ও লাঞ্চিত হওয়ার ঘটনাও ঘটে। এলাকাবাসীর দাবি, মিজান ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

গড়েয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রেজয়ানুল ইসলাম শাহ বলেন, মিজানসহ কয়েকজন এলাকায় নানা অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সে বিএনপির কেউ নয়, বরং ফেসবুকে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে। ইউনিয়ন জামায়াত ও এনসিপির নেতারাও জানিয়েছেন, মিজান তাদের সংগঠনের কেউ নন।

অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মিজান বলেন, একজন আরেকজনের নামে অভিযোগ আনতেই পারে। তবে এগুলোর সত্যতা কতটা, সেটাই দেখার বিষয়।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম বলেন, যদি কেউ সমন্বয়ক পরিচয়ে প্রতারণা বা চাঁদাবাজি করে, তাহলে বিষয়টি আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দোকান কর্মচারীর বিরুদ্ধে,চাঁদাবাজি,সমন্বয়ক পরিচয়ে
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত