
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী ফয়সাল বিপ্লবের বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি এখন কুকুর, বিড়াল আর মশার আস্তানায় পরিণত হয়েছে। বাড়ির ভেতর থেকে ইঁদুর মরে পচা দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যান সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব, তার বাবা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তবে আত্মগোপনের এক বছরের মাথায় রাজধানী ঢাকার একটি বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন ফয়সাল বিপ্লব।
সাবেক এমপির বাসভবনটি হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হয় ক্ষুব্ধ জনতার হাতে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি বাথরুমের হাইকমোড থেকে শুরু করে বিদ্যুতের তার পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। বাড়ির ভেতরে আসবাবপত্র বলতে কিছুই অবশিষ্ট নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মানুষের ক্ষোভে একসময়কার বিলাসবহুল এই বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাঁকজমকপূর্ণ বাড়িটি এখন ভুতুড়ে বাড়ি, যেখানে কুকুর, বিড়াল ও মশার উপদ্রব বেড়েছে। ইঁদুরের চিকা মরে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় নেতা ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর যে নির্যাতন চালিয়েছে, তার বর্ণনা দিয়ে শেষ করা যাবে না। এই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে ছাত্র-জনতা বিতাড়িত করেছে। নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আজ যারা নির্যাতনের কথা বলছেন, তাদের সামনে প্রশ্ন রাখতে চাই—আওয়ামী লীগের আমলে কত মানুষকে নির্যাতন করা হয়েছে, হত্যা-গুম করা হয়েছে, লুটপাট চালানো হয়েছে। বিএনপি মামলা, হামলা বা নির্যাতন করে না, এগুলো আওয়ামী লীগ করেছে।