
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, 'আওয়ামী লীগ তাদেরকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি বলে দাবি করে ১৯৭৫ সালে এক দলীয় রাষ্ট্র গঠন করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের কবর দিয়েছিল। পরবর্তীকালে তাদের ভাষায় অখ্যাত মেজর জিয়াউর রহমান রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে আবার গণতন্ত্রকে উন্মুক্ত করে দিয়েছিলেন সবার জন্যে। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার বিনিময়ে দেশকে আমরা পেয়েছি। রাজনৈতিক নেতারা যখন প্রাণ ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন জনগণের পক্ষে দাঁড়াবার জন্য কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় নাই সেই মাহেন্দ্রক্ষণে চট্টগ্রামে মেজর জিয়াউর রহমান ৮ম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ অধিনায়ক হিসেবে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।'
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে মৌলভীবাজারের এম সাইফুর রহমান অডিটোরিয়ামে এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদ বাংলাদেশের আয়োজনে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ও খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদ এম সাইফুর রহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাফিজ বলেন, একাত্তরে বাঙ্গালি যে কি সাহসী জাতি ছিল বিশেষ করে তরুণ ছাত্ররা এবং তরুণ সৈনিকেরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছে দেশের স্বাধীনতার জন্যে। তাদের জীবনের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
তিনি বলেন, এখন জাতীয় জীবনে ক্রান্তিলগ্নে আমরা উপনীত হয়েছি। অনেক ত্যাগ তিতিক্ষার পর বিশেষ করে বিএনপি সতের বছর সংগ্রামের পর এবং সব শেষে এ তরুণ ছাত্র যুবক তাদের অভিভাবকরা সবাই মিলে রাজপথে নেমে হাসিনার মাফিয়াতন্ত্রের অবসান ঘটিয়েছে। আল্লাহর গজব তাদের ওপর পড়েছে। সেজন্য দেশ ছেড়ে তাদেরকে পালাতে হয়েছে। কতো বড় বড় কথা বলেছেন,আওয়ামীলীগ পালায় না, শেখ হাসিনা পালায় না কোথায় এখন। যাইহোক এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর এখন মহা গুরুদায়িত্ব রয়েছে। ইনশাআল্লাহ নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাসে হবে। জনগণের সমর্থন নিয়ে আবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাবে জনগণের প্রিয় দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। আমাদের ওপর এখন অনেক দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা যেনো আওয়ামী লীগ না হই। আওয়ামীলীগ যেসব কর্মকাণ্ড করেছে যে দুর্নীতি করেছে,মানি লন্ডারিং করেছে হত্যা গুম খুন করেছে। আমরা যেন তাদের কর্মকাণ্ড থেকে শিক্ষা নিতে পারি। আজকে প্রয়োজন ছিল সাইফুর রহমানের মতো অভিভাবকের একজন রাজনৈতিকের। তিনি পুরো দলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন।যার কথায় সারা বাংলাদেশ আন্দোলিত হতো। তিনি উন্নয়নের রূপকার হিসাবে আবার বাংলাদেশ কে এক স্বর্ণযুগে নিতে সক্ষম হতেন।'
স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সৈয়দ তৌফিক আহমদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক ড.আব্দুল মতিনের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন এম সাইফুর রহমানের বড় ছেলে ও সাবেক সংসদ সদস্য স্মৃতি পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক এম নাসের রহমান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. আলিমুল ইসলাম, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ জি কে গউছ, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহবায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ূন, সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম রিপন ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।