
বিচারের রায় না মেনে উল্টো প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে আপন ছোট ভাই রুবেল বড়ুয়ার মাথা ফাটালেন বড়ভাই রনতোষ বড়ুয়া।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের রামু উপজেলার শ্রীকুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। উভয় ভাই ওই গ্রামের মৃত অরিন্দ্র বড়ুয়ার সন্তান।
জানা গেছে, তাদের ভাই সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সন্তোষ বড়ুয়ার সঙ্গে সৎ ভাই রনতোষ বড়ুয়ার জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার হামলা-মামলার ঘটনাও ঘটেছে। বিরোধ চরমে পৌঁছালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমাজের কিছু বিশিষ্টজন মিমাংসার উদ্যোগ নেন।
উভয় পক্ষ সম্মতিতে সালিশের রায় মেনে চলার প্রতিশ্রুতি দেয়। শুক্রবার চৌমুহনী স্টেশনের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সালিশকারীরা উভয় পক্ষের বৈঠক ডাকে।
বৈঠকে বিচারকেরা সিদ্ধান্তগুলো উভয় পক্ষকে পড়া শুরু করলে রুবেল বড়ুয়া তা মানতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সালিশকারীদের সঙ্গে কথাকাটাকাটির পর বৈঠক অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়।
খোঁজে জানা গেছে, রুবেল বড়ুয়া প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে বড় ভাই রনতোষকে দিয়ে নিজেই মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত হন। পরে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার চেষ্টা করেন।
রামু চৌমুহনী স্টেশনের সেবালয় মেডিকোর পেছনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সালিশকারী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য বিজন বড়ুয়া, ব্যবসায়ী চম্পক বড়ুয়া জুয়েল, কেতন বড়ুয়া, সাংবাদিক সুনীল বড়ুয়া এবং স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউনুচ। উপস্থিত সবাই জানিয়েছেন, হামলায় তারা কোনো আহত হয়নি।
সালিশ বৈঠকে উপস্থিত চম্পক বড়ুয়া জুয়েল বলেন, বিচারকগণ উভয় পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু রুবেল বড়ুয়া তা মানেননি।
এ বিষয়ে বিজন বড়ুয়া জানান, তারা চেষ্টা করেছেন, তবে চূড়ান্ত পর্যায়ে রুবেল বড়ুয়ার বিচার না মানার কারণে তা সম্ভব হয়নি।
ইঞ্জিনিয়ার মোকতার আলম হেলালী বলেন, রুবেল বড়ুয়ার মাথা ফাটানোর বিষয়টি শুনেছেন, তবে তা কতটা সত্য তা জানা নেই। দুই পক্ষের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। থানা ও আদালতে তিন-চারটি মামলা হয়েছিল। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিষয়টি মিমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়। বৈঠকে রুবেল বড়ুয়া রায় মানতে অস্বীকার করলে বৈঠক অমিমাংসিতভাবে শেষ হয়।
রুবেল বড়ুয়ার মোবাইল ফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি যোগাযোগ করেননি।