
মুন্সীগঞ্জ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক সংকট দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। জেলার ৬টি উপজেলার মধ্যে ৫টিতেই শিক্ষক সংকট রয়েছে। এর মধ্যে ১১০টি বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই এবং ২২৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। ফলে শিক্ষার্থীরা সঠিকভাবে পাঠদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, মুন্সীগঞ্জ সদরে ২৯টি, লৌহজংয়ে ১১টি, শ্রীনগরে ১৮টি, গজারিয়ায় ১৩টি এবং টঙ্গীবাড়ীতে ৩৯টি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। তবে সিরাজদিখান উপজেলায় কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট নেই।অন্যদিকে, সদর উপজেলায় ৫০টি, শ্রীনগরে ৪৮টি, লৌহজংয়ে ২৪টি, সিরাজদিখানে ৩৯টি, টঙ্গীবাড়ীতে ২৮টি এবং গজারিয়ায় ১৩টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। সবমিলিয়ে জেলার ২২৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।
জেলায় বর্তমানে ৬১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭৮ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। শিক্ষার হার ৯২ শতাংশ হলেও শিক্ষক সংকট শিক্ষার মানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। বিশেষ করে সদরের চরাঞ্চলে সংকট বেশি।
জেলার শিক্ষাবিদরা মনে করেন, শিক্ষক সংকট নিরসনে জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা দরকার। অন্যথায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।
সদর উপজেলার চরবেহেরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, “আমাদের বাচ্চারা ঠিক মতো ক্লাস পাচ্ছে না। একজন শিক্ষককে একসঙ্গে একাধিক শ্রেণির ক্লাস নিতে হয়। এতে শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে।
শ্রীনগরের একটি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবিহীন অবস্থায় দায়িত্বে থাকা শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজকর্মে সমস্যা হচ্ছে। আবার শিক্ষক কম থাকায় পড়াশোনায়ও প্রভাব পড়ছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ হবে। তবে বর্তমানে সংকট সত্যিই রয়েছে এবং এর কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে ভোগান্তি হচ্ছে।