
ভারি বর্ষণের ফলে শেরপুরের পাহাড়ি নদী মহারশি ও চেল্লাখালীতে পাহাড়ি ঢলের সাথে ভেসে আসা গাছ এবং লাকড়ি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে ইসমাইল নামে এক কিশোর এবং হুমায়ুন নামে আরেক শিশু।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা দুইটা ও বিকেলের দিকে ঝিনাইগাতির তামাগাঁও এবং নালিতাবাড়ীর বুরুঙ্গা এলাকায় পৃথক এসব দুর্ঘটনা ঘটে। তবে রাত সাড়ে আটটার দিকে শিশু হুমায়ুনের মরদেহ উদ্ধার করেছে তারই চাচা জাহাঙ্গীর আলম।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে তীব্র স্রোতে বৃহস্পতিবার চেল্লাখালী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামে। ঢলের সাথে পাহাড় থেকে ভেসে আসা লাকড়ি ধরতে দুপুরে বুরুঙ্গা ব্রিজের দক্ষিণ-পশ্চিম পাশ দিয়ে নদীতে নামে হুমায়ুন ও সমবয়সী চাচাতো ভাই আতিক হাসান।
এসময় স্রোতের টানে ডুবে নিখোঁজ হয় হুমায়ুন। পরে খবর পেয়ে জামালপুর থেকে ডুবুরি দল এসে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে উদ্ধার কার্যক্রম স্থগিত করে ফিরে যায়।
পরে রাত সাড়ে আটটার দিকে প্রায় ৪শ মিটার ভাটি থেকে হুমায়ুনের মরদেহ পাওয়া যায়।
এদিকে বিকেলে ঝিনাইগাতি উপজেলার ডাকাবর গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা আব্দুল্লাহর কিশোর ছেলে ইসমাইল (১৮) তামাগাঁও এলাকায় মহারশি নদীতে ভেসে আসা গাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ হয়। ১৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে তার মরদেহ ব্রিজপাড় ধানখেত থেকে উদ্ধার হয়।