
নদী ও হাওড় রক্ষার আহ্বান জানিয়ে হবিগঞ্জে ছবি আঁকা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), আর্ট এন্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট হবিগঞ্জ ও প্রাকৃতজন এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
ধরা হবিগঞ্জের আহ্বায়ক তাহমিনা বেগম গিনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বৃন্দাবন সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. ইকরামুল ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এডভোকেট মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল ও সমাজকর্মী অলক দত্ত বাবু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন আর্ট এন্ড টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট হবিগঞ্জ এর প্রিন্সিপাল আশিষ আচার্য্য।
এসময় বক্তারা বলেন, তথাকথিত উন্নত দেশের কারণে জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি আমরা। আমাদের দেশের ঋতু পরিবর্তন হয়ে গেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও মনুষ্য সৃষ্ট কার্যকলাপের কারণে এই অঞ্চল পরিবেশগত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা রয়েছে। কলকারখানার দূষিত বর্জ্যের কারণে নদী, জলাশয় ও হাওড় মারাত্মক দূষিত হচ্ছে। হাওর স্বাভাবিক চিত্র হারাচ্ছে। এ বছর হাওরে স্বাভাবিক পানি নেই। দেশীয় মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে পাহাড় টিলা কাটা, গাছ কাটা, বনভূমি উজাড় ইত্যাদি নানা কারণে পরিবেশগত সংকট দিন দিন প্রকট আকার ধারণ করছে। হবিগঞ্জের সুতাং নদী দেশের সব থেকে দূষিত নদী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওটা হবিগঞ্জের কলকারখানাগুলোর অপরিশোধিত বর্জ্য নিক্ষেপের করে খাল, জলাশয়, হাওড় ও নদীতে মারাত্মক দূষণ ঘটিয়ে আসছে।
হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদী দখল দূষণে অস্তিত্ব চরমে পৌঁছেছে। দুই দশক ধরে পরিবেশবাদী সংগঠন নদীটি দখলমুক্ত করে নাগরিক সমাজের সুবিধায় সম্পৃক্ত করার জন্য আন্দোলন করে আসছে। বারবার আশ্বাস দেওয়ার পরও নদীটি দখলমুক্ত করার কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। বনাঞ্চলের টিলা, গাছ কেটে উজাড় করা হচ্ছে। নাগরিক সমাজ জেলার নদনদী পাহাড় টিলা বনভূমি রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা দেখতে চায়।
বক্তারা আরো বলেন, মানুষের অধিকার, কর্মসংস্থান, ন্যায় বিচার এবং পরিপূর্ণ জীবনের জন্য বিশ্বব্যাপী গণহত্যা, ধ্বংস-বিশৃঙ্খলা এবং জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ করতে হবে। মানুষ এবং প্রকৃতির জন্য একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তুলতে হলে প্রকৃতি-পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে।