
হবিগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চোরাচালানি পণ্য ও আসামিসহ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)। যার আনুমানিক মূল্য এক কোটি টাকা।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন হবিগঞ্জ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান।
এর আগে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ৫৫ বিজিবি জানতে পারে যে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে ভারতীয় পণ্য প্রবেশ করবে। এ প্রেক্ষিতে সিন্দুরখান বিওপির একটি বিশেষ টহলদল কামারগাঁও এলাকায় কৌশলগতভাবে অবস্থান নেয়। পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় বিপুল পরিমাণ ভারতীয় চশমা ও বিভিন্ন প্রকার মূল্যবান কসমেটিকস, ফেসওয়াশ, ক্রীমসহ নানা পণ্য জব্দ করা হয়।
অপর একটি অভিযানে হবিগঞ্জ বিজিবির টহলদল সিন্দুরখান এলাকার কুঞ্জবন এলাকায় একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের ২৫ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ করে।
এছাড়া একই ব্যাটালিয়নের কাকমারাছড়া বিওপির টহলদল দূর্গাপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে আনা ৬ হাজার ২০০ টাকা মূল্যের পাহাড়ি শীল কড়ই গাছ জব্দ করে। অপর আরেকটি অভিযানে সিন্দুরখান বিওপির রাজঘাট নামক এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ কেজি ৮০০ গ্রাম ভারতীয় গাঁজাসহ মিলন খারিয়া (২০) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে।
হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. তানজিলুর রহমান বলেন, যেকোনো ধরনের মাদক এবং চোরাচালানের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ বিজিবি সব সময় শক্ত ভূমিকা পালন করেছে। বিজিবি নিরলসভাবে দেশের সীমান্ত পাহারা দিচ্ছে। আমাদের চোরাচালান ও মাদক বিরোধী প্রতিটি অভিযান অপরাধ দমন করার পাশাপাশি জনগণের মাঝেও স্বস্তি ফিরিয়ে আনছে। সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসার জন্য বিজিবির অভিযান অব্যাহত থাকবে।
জব্দকৃত মাদক ও চোরাচালানি পণ্য আইনানুগ প্রক্রিয়ায় হবিগঞ্জ কাস্টমস অফিসে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া আটককৃত আসামিকে চুনারুঘাট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট চোরাচালানি ও মাদক ব্যবসায়ী চক্রকে শনাক্ত ও আটক করতে বিজিবির গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বিজিবি সীমান্তবর্তী জনগণকে মাদক ও চোরাচালানবিরোধী সামাজিক আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে।