ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

নির্মাণের ৭ বছরেও চালু হয়নি শ্রীনগরের ট্রমা সেন্টার

নির্মাণের ৭ বছরেও চালু হয়নি শ্রীনগরের ট্রমা সেন্টার

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও চালু হয়নি জেলার একমাত্র ট্রমা সেন্টার।

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, সিরাজদিখান ও লৌহজং উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনা কবলিতদের সেবা দিতে জেলার একমাত্র এই ট্রমা সেন্টারটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় প্রায় ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে গত ২০১৮ সালে নির্মিত হয় এ ট্রমা সেন্টারটি। দফায় দফায় দরপত্র আহ্বান, নির্ধারিত স্থান পরিবর্তন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফলতির পর ২০০৭ সালে লৌহজং উপজেলার মাওয়ায় ট্রমা সেন্টার নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করে জেলা গণপূর্ত অধিদপ্তর। তিন তলা ভবন নির্মাণের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তর তিন দফায় ওই দরপত্র আহ্বান করেন। তৃতীয় দফায় দরপত্র আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে মেসার্স আব্দুস সাত্তার নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এই ট্রমা সেন্টারের ৩ তলা ভবনের নির্মাণ কাজ পায়।

তবে ওই দর পত্রের প্রায় তিন বছর পর ২০১০ সালের ২৬ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রীনগরের ষোলঘর এলাকায় ট্রমা সেন্টারের ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি। দীর্ঘ প্রায় সাত বছর ধরে ট্রমা সেন্টারটি চালু না হওয়ার সেবা দান প্রতিষ্ঠানটি করুন দশায় পরিণত হয়েছে।

ভবনটির বাউন্ডারির ভিতর ও বাহিরে চারপাশ ঝোপজঙ্গলে ছেয়ে গেছে। সন্ধ্যা নামলেই চারপাশ অন্ধকার ও নিরিবিলি হওয়ায় ভবনটির বাউন্ডারী টপকে মাদকসেবীরা অনায়াসে ভেতরে প্রবেশ করে নানা ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন করার নিরাপদ ঘাটি হিসেবে ব্যবহার করছে বলে স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এছাড়া তিন-তলা ভবনের জানালার থাইয়ের গ্লাস গুলো ভেঙ্গে যাওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই ভবনের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে অনায়াসে হয়ে পরছে। জানালাগুলোতে মরিচা ধরেছে, দেয়ালের অনেক স্থানের পলেস্তারা খসে পরেছে, বৈদ্যুতিক ও স্যানিটারি সরঞ্জামাদি অকেজো হয়ে পরছে।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এটিএম ওবায়দুল্লাহ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অর্থ বিভাগ থেকে অনুমোদন দিলেই আমরা খুব শীঘ্রই ট্রমা সেন্টারটি চালু করবো।

জেলাবাসীর দাবি, অতিসত্বর জেলার একমাত্র ট্রমা সেন্টারটির আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করে চালু করা হউক।

নির্মাণ,ট্রমা সেন্টার
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত