ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

যমুনার ভাঙনে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন, হুমকিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

যমুনার ভাঙনে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিলীন, হুমকিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনা নদীর কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে এই ভাঙনে প্রায় অর্ধশত ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ভূমিসহ বিভিন্ন সম্পদ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। যমুনা নদীর পানি কমতে থাকায় ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ি ঢলে ও প্রবল বর্ষণের কারণে প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। এর ফলে নিম্নাঞ্চলের পাটসহ বিভিন্ন ফসলও ব্যাপকভাবে নষ্ট হয়েছে। সোমবার মধ্যরাত থেকে যমুনার পানি কমতে শুরু করে এবং রোববার বিকেল থেকে উপজেলার চাঁদপুরসহ কয়েকটি স্থানে তীব্র ভাঙন দেখা দেয়। গবাদিপশু, ঘরবাড়ির টিনের চালসহ বিভিন্ন বস্তু নদীগর্ভে প্রবাহিত হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে চাঁদপুর এলাকায় ভাঙনের ফলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে, এবং অনেক পরিবার অনাথ্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এই ভাঙন অব্যাহত থাকলে আরও বাড়িঘর এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও হুমকির মুখে পড়বে।

স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ যমুনা নদীতে এ ধরনের তীব্র ভাঙন শুরু হওয়ায় চাঁদপুরসহ আশেপাশের কয়েকটি গ্রাম ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দ্রুত স্থায়ী তীর রক্ষা করতে জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের ব্যবস্থা না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, এমন তীব্র ভাঙনের বিষয়টি স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করা হয়েছে।

স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান বলেন, যমুনার পানি ইতিমধ্যেই কমতে শুরু করেছে। এতে স্রোত ও ঘূর্ণাবর্তের কারণে ভাঙন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (বগুড়া) আরিফুল ইসলাম চৌহালী উপজেলার চাঁদপুরের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ওই এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করা হবে বলে তিনি জানান।

যমুনা,ভাঙন,হুমকি,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত